বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○"や সাধনা ৷ শতাব্দীতে শারীরিক হূৰ্ব্বলতাকে তুৰ্ব্বলতা বলাই উচিত হয় না। কিন্তু বুদ্ধিচর্চা এবং জ্ঞানোপার্জনও বলসাধ্য। দুই জন লোকের যদি সমান বুদ্ধি থাকে এবং তাহীদের মধ্যে একজনের শারীরিক বল অধিক থাকে তবে বলিষ্ঠ ব্যক্তি বুদ্ধি ংগ্রামেও অন্যটিকে পরাভূত করিবে, শরীর ও মনের মধ্যে এমন ঘনিষ্ঠ যোগ অাছে। তবে যদি প্রমাপ হয় স্ত্রীলোকের বুদ্ধিবৃত্তি পুরুষের অপেক্ষা অনেক বেশি তবে কথাটা স্বতন্ত্র হয়। যাহা হউক, প্রকৃতির পক্ষপাতের জন্য পুরুষকে অপরাধী করা উচিত হয় না। কারণ, পুরুষের পাপের বোঝা যথেষ্ট ভারি আছে। যেখানে ক্ষমত। সেখানে প্রায়ই লুনাধিক অত্যাচার অাছেই । ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ সংযত করিয়া চলt সৰ্ব্বসাধারণের নিকট প্রত্যাশা করা যায় না ; সেই কারণে, রমণীর প্রতি পুরুষের উপদ্রবের অপরাধ পৰ্ব্বত-প্রমাণ স্ত,পাকার হইয়া উঠিয়াছে ; তাহার উপরে আবার একটা “ওরিজিনাল সিন্য একটা মূল পাপ পুরুষের স্কন্ধে চাপান নিতান্ত অন্যায় । সেট। পুরুষের নহে প্রকৃতির। রমণীর কাছে পুরুষের। সহস্ৰ প্রেমের অপরাধে চির অপরাধী সে জন্য র্তাহারা সুমধুর অভিমানে আমাদিগকে দণ্ডিত করেন, সে সকল আইন ঘরে ঘরে প্রচলিত ; এমন কি তাহার দণ্ডবিধি বঙ্গ সাহিত্যে প্রকাশিত হইয়াছে । কিন্তু আজ কাল নারীর পুরুষের নামে এ কি এক নুতন অভিযোগ অনিয়া উপস্থিত করিয়াছেন এবং আমাদিগকে নীরস ও নিষ্ঠুরভাবে ভৎসনা করিতেছেন। এরূপ অশ্রুজলশূন্ত শুষ্ক শাসনের জন্য আমরা কোন কালে প্রস্তুত ছিলাম না ; এটা আমাদের কাছে নিতান্ত বেআইনি রকম ঠেকিতেছে।—রমণী সৌন্দর্য্যে পুরুষের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ (কেবল শারীরিক সৌন্দর্য্যে নহে) । দুর্ভাগ্যক্রমে মানবসমাজে সৌন্দর্য্যবোধ অনেক বিলম্বে পরিগতি লাভ করে। কিন্তু অনাদৃত সৌন্দর্য্যও প্রেমপরিপূর্ণ ধৈৰ্যোর সহিত প্রতীক্ষা করিতে জানে ; অন্ধবল তাহার সম্মুখে দম্ভ প্রকাশ করে বলিয়া বলের প্রতি তাহার কোন ঈর্ষ্যা নাই ; সে সেই খেদে বলিষ্ঠ হইয়া বলকে অতিক্রম করিতে