বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मभ्र:झष्ठिना । ७११ চায় না, সুপার হইয়া অতি ধীরে ধীরে জয়লাভ করে। যিশু খৃষ্ট যেরূপ মৃত্যুর দ্বারা অমর হইয়াছেন সৌন্দর্য্য সেইরূপ উৎপীড়িত হইয়াই জয়ী হয় । অধৈর্য্য হইবার অাবস্তক নাই ; নারীর আদর কালক্রমে আপনি বাড়িবে, সে জন্য নারীদিগকে কোমর বাধিতে হইবে না ; বরঞ্চ আরো অধিক সুন্দর হইতে হইবে । রাবণের ঘরে সীতা অপমানিত সেখানে কেবল পগুবল, সেখানে সীতা বন্দিনী । রামের ঘরে সীতা সন্মানিতা ; সেখানে বলের সহিত ধৰ্ম্মের মিলন, সেখানে সীতা স্বাধীন । ধৈর্য্যকঠিন প্রেমকোমল সৌন্দর্য্যের অলক্ষ্য প্রভাবে মনুষ্যত্ব বিকশিত্ত হইতে থাকিবে এবং সেই মনুষ্যত্ব বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যথার্থ পৌরুষ যখন পরিণত হইয়। উঠিবে, তখন এই উদারহৃদয় পৌরুষই অনাদরের হাত হইতে সৌন্দর্য্যকে উদ্ধার করিবে ; এ জন্য নারীদিগকে লড়াই করিতে হইবে না । সমালোচ্য প্রবন্ধের দুই একটা বাঙ্গলা কথা আমাদের কানে নিরতিশয় বিলাতী রকম ঠেকিয়াছে এখানে তাহার উল্লেখ না করিয়৷ থাকিতে পারিলাম ন, মাননীয়। লেথিক। মার্জন করিবেন । “ কর্ষিত বিচারশক্তি” “মানসিক কর্ষণ” শব্দগুলা বাঙ্গলা নহে ৷ একস্থানে আছে “সংসারে যে গুরুতর কৰ্ত্তব্য তাহার উপর অর্পিত হয়, তজ্জন্য, সমভাবময় হৃদয়ের দ্যায়, কর্ষিত মস্তকেরও একান্ত আবশ্বক । “সমভাবময় হৃদয়’ কোন ইংরাজি শব্দের তর্জমা ঠাহর করিতে পারিলাম ন৷ সুতরাং উহার অর্থ নির্ণয় করিতে অক্ষম হইলাম ; “কর্ষিক্ত মস্ত ক” কথাটার ইংরাজি মনে পড়িতেছে কিন্তু বাঙ্গালাভাষার পক্ষে এ শব্দটা একেবারে গুরুপাক । “সোম” নামক প্রবন্ধে বৈদিক সোমরস যে স্বর। অর্থেই ব্যবহৃত হইত না লেখক তাছাই প্রমাণ করিতে প্রস্তুক্ত হইয়াছেন । “সোম” বলিতে কি বুঝাইত ভবিষ্যৎসংখ্যক সাহিত্যে তাহার আলোচনা হইবে লেখক আশ্বাস দিয়াছেন । আমরা ঔৎসুক্যের সহিত প্রতীক্ষা করিয়া রহিলাম । “রায় মহাশয়” গল্পে বাঙ্গলার জমিদারী শাসনের