বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের সত্য। ses বা নাই থাক। যে পরিমাণে আমরা আপনার মধ্যে হ্যামলেটের হ্যামলেটত্ব অনুভব করতে পারি, আর হ্যাম্লেটের মধ্যে আপনাকে স্থাপন করতে পারি, সেই পরিমাণে হ্যাম্লেট-নাটক সাহিত্য । এ কথাট। খালি নাট্য-কাব্য সম্বন্ধে নয়, গীতি-কাব্য সম্বন্ধেও সম্পূর্ণভাবে সত । সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ গীতি-কাব্যে আমাদের নিজের নিজত্ব জেগে ওঠে- আমরা নিজের হৃদয়ের কথা শুনি, আর সেই জন্যই ভাল লাগে। যার কবিতাতে নিজের নিজত্ব অমুভব করে না, যারা নিজের কথা শুনতে পায় না, খালি কবির কথাই শোনে, তাদের কবিতা যথার্থ কতদূর ভাল লাগে সে বিষয়ে আমার খুবই সন্দেহ। কবি লেখবার সময় তার লেখাতে খানিকট আত্মপ্রকাশ করলেও করতে পারেন বটে—কিন্তু পাঠক সেই কবিতাতে নিজেরই নিজত্ব দেখে-কবির নিজত্ব দেখে না। কবি নিজের নিজত্ব ন দিলে হয়ত এ ফল হ’ত না, কিন্তু সে কবিতা গড়বার একটা প্রণালী মাত্র ;–পাঠকের নিজত্ব উদ্রেক করবার সহজ উপায় মাত্র। যদি কোন কবি নিজে কিছুমাত্র অনুভব না ক’রে খালি কলের মতন এমন লিখতে পারতেন যে, পাঠক তার গানে নিজের হৃদয়ের কথা শুনতে পেত, তাহলে কবির নিজত্ব তাতে প্রকাশ না পেলেও সে কবিতার কবিত্ব কিছু কমৃত না, আর আপনার নিজত্ব সমস্ত ঢেলে দিয়েও যদি আমি অন্যের কাছে তার নিজের কথা শোনাতে না পারি তা হলে আমার কবিতা কবিতাই नग्न है যেমন আত্মপ্রকাশ কবিতা গড়বার একটা প্রণালী মাত্র, সত্য সেই রকম সাহিত্য গড়বার উপাদান মাত্র । যে কোন উপায়ে হোক না কেন সাহিত্যের কাজ হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের