বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের সত্য । 8 to করে’ সাজান যাতে আমাদের মনে কতকগুলি বিশেষ ভাব জেগে ওঠে । সাহিত্য জগতের দর্জি অার স্বর্ণকার । তৰে সব জিনিষকে এরকম ভাবে সাজান যায় না । পৃথিবীতে কোন কোন এমন কুৎসিৎ স্ত্রীলোক আছে যারা সহস্ৰ সাজসজ্জা সত্ত্বেও স্ত্রীলোকের প্রধান কৰ্ত্তব্য—সৌন্দর্য্যভাবের উদ্রেক-সাধন করতে পারে না। প্যারিসের বড় দর্জি ওয়ার্থ কোন কোন মহিলাকে এই বলে ফিরিয়ে দেয়—“তোমার শরীরের গঠন ভাল নয়, আমি তোমার জন্য কাপড় তৈরি করতে পারব না।” সাহিত্যও সেই রকম বেছে নেয়, কাকে সাজসজ্জা করিয়ে মনুষ্যহৃদয়ের সম্মুখে উপস্থিত করবে অার কাকেই বা সাজসজ্জার অমুপযোগী বলে’ ফিরিয়ে দেবে । সত্যকে কিন্তু কি রকম করে” যে “নিজের” করবে, “নিঞ্জের জীবন দিয়ে মণ্ডিত করে’ প্রকাশ করবে’ অামি বুঝতে পারছিনে। একটা বিশেষ সত্য বুঝতে পারি কিন্তু অ্যাবৃষ্টাক্ট, সত্যের মানে বুঝতে পারিনে। একটা কোন বিশেষ সত্যের মধ্যে নিজের নিজত্ব দেওয়ার মানে কি ? একটা ত্রিকোণের দুই বাহু সমান হলে তার দুই কোণও সমান হবে এই সত্য “নিজের” করা কিম্বা “নিজের জীবন দিয়ে মণ্ডিত করা” অর্থহীন। সত্য আত্মবহিভূত—“তাকে এমন করে? ধরা যাতে লোকে অবিলম্বে জানতে পারবে যে আমারই বিশেষ মন থেকে দেখা দিচ্ছে” অসম্ভব ; আর যদিই বা পারতুম ত তাতে কোনই লাভ দেধিনে। নিজের মন থেকেই দেখা দিক আর “স্বয়ম্ভ" হোক তার যা কাজ তাই করলেই হোল। বিজ্ঞানে আর সাহিত্যে প্রভেদ এই যে, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সত্য প্রচার করা, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য হৃদয়ের আবেগ