বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা। se» আবার কোথা হইতে আনিতে হইবে এবং কোন “অবতার” আনিবেন ? যাহার যেরূপ শক্তি তিনি তদনুসারেই সাধন। করিতে পারিবেন এমন বহুরূপী ধৰ্ম্মের মধ্যে ঐক্যবন্ধন কোন খানে ? এবং এই হিন্দুধৰ্ম্মের প্রভাবে আদিম বৈদিক সময়ের পরে কোন কালে ভারতবর্ষে জাতীয় ঐক্য ছিল ? “সাওতালের শ্রাদ্ধ প্রণালী” লেখাটি কৌতুহলজনক । “জাতীয় একতা” প্রবন্ধে লেখক কৌতুক করিতে ছেন কি জ্ঞান দান করিতেছেন সহসা বুঝা দুঃসাধ্য ; এই পর্য্যস্ত বলা যায় দুইটির মধ্যে কোন উদেশ্যই সিদ্ধ হয় নাই । “দোকানদারী !" বঙ্গ সাহিত্যে এই ধরণের আশ্র গদগদ সামুনাসিক প্রলাপোক্তি উত্তরোত্তর অসহ্য হইয়া উঠিতেছে । কোন উচ্চ শ্রেণীর সাময়িক পত্রে এরূপ গদ্যপ্রবন্ধ কেন স্থান প্রাপ্ত হয় বুঝা কঠিন । সাহিত্য । ফাল্গুন । “সোম ।’’ এই উৎকৃষ্ট প্রবন্ধে লেখক মহাশয় বেদ হইতে অনেকগুলি দৃষ্টান্ত উদ্ধত করিয়া প্রমাণ করিতেছেন বেদে সোম বলিতে ঈশ্বরপ্রেম বুঝায়। সোম বলিতে ঈশ্বরপ্রেম রূপকভাবে বুঝাইত, না তাহার প্রকৃত অর্থই এই, লেখক মহাশয় কোথাও তাহার অালোচনা করিয়াছেন বলিয়া মনে পড়িতেছে না। স্বরাপানের আনন্দের সহিত ঈশ্বর প্রেমানদের তুলনা অন্যত্রও পাওয়া যায়, হাফেজের কবিতা তাহার দৃষ্টান্তস্থল । রামপ্রসাদের কোন গানেও তিনি সুরাকে আধ্যাত্মিক ভাবে উল্লেখ করিয়াছেন কিন্তু তােহা হইতে প্রমাণ হয় না যে, তান্ত্রিকের কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক