বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፴፰w সাধন । তাছা স্থির করিতে গেলে অনেক সময়ই অপসিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয়। অমরসিংহ (৫• • খৃঃ অঃ) স্বীয় অভিধানে দশরথাস্থজ ভগবান রামচন্দ্রের উল্লেখ করেন নাই। তদীয় কোষগ্রন্থে যদুকুলচূড়ামণি খ্ৰীকৃষ্ণ ও বলরামের উল্লেখ আছে। এমন কি, বিষ্ণু-অবতার বাচক নামের উল্লেখ প্রসঙ্গেও (শ্ৰীকৃষ্ণের নামোল্লেখ আছে, কিন্তু) রামচন্দ্রের কোনও উল্লেখ নাই। ইহা হষ্টতে কি সিদ্ধাস্ত করিতে হইবে যে, অমরসিংহের পর রামচন্দ্র আবিভূতি হন ? মহাকবি কালিদাসের রঘুবংশ বিদ্যমান থাকিতে কখনই উক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। এতদূব্যতীত অমরসিংহের বহুপূৰ্ব্বে (অর্থাৎ খৃঃ ২য় শতাব্দীতে) খোদিত প্রস্তরলিপিতে ও ভগবান রামচন্দ্রের উল্লেখ আছে। পতঞ্জলির (১৫০ পুঃ খৃঃ) মহাভাষ্যে মাহিষ্মতী, বিদর্ভ কাঞ্চীপুর ও কেরল এই কয়টি প্রদেশের নামোল্লেখ আছে ; কিন্তু উক্ত গ্রন্থের কোনও স্থলেই “মহারাষ্ট্র” এই নাম দৃষ্ট হয় না । এক্ষণে অধ্যাপক গোল্ডইকারের যুক্তি অবলম্বন করিলে বলিতে হয় যে, পতঞ্জলির সময় মহারাষ্ট দেশ অনার্য্যভূমি ও আর্য্যগণের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল। কিন্তু খৃষ্টের প্রায় ২৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে যে মহারাষ্ট্র দেশে মিসরদেশীয় বনিকৃগণ বাণিজ্যার্থে আগমন করিতেন ও তথায় “রষ্ঠি” “রষ্ঠ’ বা “মহারষ্ঠ” ও “মহাভোজ” নামক ক্ষত্রিয় জাতি বাস করিতেন, তাহী ডাঃ ভাণ্ডারকরই সপ্রমাণ করিয়াছেন। অধ্যাপক গোল্ড কারের পূৰ্ব্বোক্ত যুক্তির ভ্ৰমাত্মকতা পুরাতত্ত্ববিৎ ডাঃ রামদাস সেন মহোদয় অতি সুন্দর রূপে প্রদর্শন করিয়াছেন। তিনি বলেন, “আচাৰ্য্য গোল্ডই কার কেবলমাত্র ব্যাকরণসূত্রের কতকগুলি কথা লইয়া তদীয় কাল দেশ ও তদানীন্তন গ্রন্থাবলীর যে সত্তানির্ণয় কল্পিয়াছেন, তাহ অযৌক্তিক ।