বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা । tes ছেন । হিন্দু মুসলমানদের স্বর্গে যেরূপ ভোগের প্রলোভন আছে বৌদ্ধদের স্বর্গে সেরূপ নাই । বৌদ্ধ স্বর্গে প্রাণীগণ হিংসা দ্বেষ ভুলিয়া পরস্পরের উপকার ও সুখবৰ্দ্ধনে নিযুক্ত । “র্তাহtদের এই মূলমন্ত্র, যে, জগতে যাহা কিছু সুখ আছে, সমস্তই পরের উপকার করিতে বাসনা করিলেই লাভ করা যায়। স্বার্থচিন্তাতে কেবল অনবচ্ছিন্ন দুঃথরাশিই উৎপন্ন হইয়া থাকে, কল্পবৃক্ষগণেরও ফলপ্রদান সময়ে স্বভাবতই শরীর কম্পিত হইয়। থাকে, অপরিসীম ক্ষীর সমুদ্রও অমৃতাভিলাষী দেবগণ কর্তৃক মথিত হইয়া কম্পিত হন, কিন্তু এই সুখাবতীবাসী বোধিসত্ত্বগণ পরার্থে শত শতবার শরীর দানে নিষ্কম্প ভাবে দণ্ডায়মান হইতে সমর্থ । সে সময়ে তাহীদের দেহ আনিলো পুলকোৎকর বহন করে ।” আমরা এই প্রবন্ধ পাঠ করিয়া বিশেষ আনন্দ লাভ করিলাম । চৈত্র মাসের “সাহিত্যে” শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত গুপ্ত মহাশয় “প্রাচীন ভারত” প্রবন্ধে খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ রাজা শিলাদিত্যের রাজত্ব কালীন “সন্তোষক্ষেত্রের উৎসব’ ব্যাপারের যে বর্ণনা করিয়াছেন তাহ পাঠ করিয়া আমরা পরিতৃপ্তি লাভ করিয়াছি। শিলাদিত্যের রাজত্বকালে পাঁচবার এই উৎসব কাৰ্য্য যথাবিধি সম্পাদিত হইয়াছিল । * * * গঙ্গাযমুনার সঙ্গম-স্থল পরম পবিত্র প্রয়াগ এই মহোৎসবের ক্ষেত্র। এই স্থানের পাঁচ ছয় মাইল পরিমাণের বিস্তীর্ণ ভূমিতে উৎসব কাৰ্য্য সম্পন্ন হইত। দীর্ঘকাল হইতে এই ভূমি "সন্তোষক্ষেত্র’ নামে পরিচিত হইয়া আসিতেছিল । এই ক্ষেত্রের চারি হাজার বর্গ কীট পরিমিত ভূমি গোলাপ ফুলের গাছে পরিবেষ্টিত হইত। পরিবেষ্টিত স্থানের বৃহৎ বৃহৎ গৃহে, স্বর্ণ ও রৌপ্য,