পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা তাল-পাতায় লেখা শেষ হইলে কলার পাতে লিখিবার নিয়ম ছিল । তাহাতে লোকের নাম লিখনই প্ৰধান ছিল ; অর্থাৎ বানান-যোগে ভাষার ভিতরে যত নাম আছে, তাহা লিখিতে গেলে কাৰ্য্যতঃ ভাষা শিক্ষা বা সামান্য সাহিত্য শিক্ষার কাৰ্য্যই হইতে । তাহার পর কড়াকিয়া, পণকিয়া, সেবকিয়া এবং ছটাক, মন প্রভূতি লিখিতে শিখান হইত । কেবল লিখিলেই হইতে না । প্ৰতিদিন দুইবেল। এই সকল অঙ্কেব যোগবিয়োগ করিতে হইত । গুণন শিক্ষার জন্য ২০ ০ শত ঘবের নামত শিক্ষাই একমাত্ৰ শ্রেষ্ঠ পন্থা ছিল । এই ভাবে এক বৎসব কিম্বা ছয় মাস কলার পাতায় লেখা শেষ হইলে বালকদিগকে কাগজ ধরান হইত। কাগজে প্ৰথম পত্ৰ-লিখনই শ্ৰেষ্ঠ বিষয় ছিল । যাহারা কাগজে লিখিত, তাহার প্রধান ছাত্র মধ্যে পরিগণিত হইত। গুরুজনের কাছে পাঠ্য-লিখন, কনিষ্ঠের কাছে, সমবয়স্কদের কাছে নানা ভাবের পাঠ্য-লিখন শিখিতে হইত। } তার পরে কওয়ালা, কৰ্জপত্ৰ প্ৰভৃতি সংসারপথের উপযোগী অনেক দলিলাদি লিখন শিক্ষা দেওয়া হইত। পাঠশালার উচ্চগণিত কল্পে কালিকষা, মাসমাহিনী, মনকষা, জমাবন্দী, রোজনাম লিখন, খতিয়ান, তেরিজ লিখন এবং শুভঙ্করী প্রভূতি o tro