পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাতারি-মারীর মাঠ জন্য সেলামী দিতে হোতো ; সৌভাগ্যের কথা এই ছিল যে, আটাশ টাকা পেয়ে বত্ৰিশ টাকার রসিদ লিখে দিতে হোতো না । আর একটা কথা ও ব’লে ফেলি ; মাইনে কিন্তু মাসে মাসে পেতাম না – কিস্তিবিন্দী করেও না । জমীদারের স্কুল ; তিন চার মাস পরে কীৰ্ত্তাদের তহবিলের অবস্থা যখন একটু সচ্ছল হোতে, তখনই তঁদের অনুগ্ৰহদৃষ্টি পড়ত এই গরীব অসহায় স্কুল-মাষ্টারদের উপর । এ অবস্থায় আর-আর মাষ্টারেরা এই হতভাগ্য বাঙ্গালা দেশে যা ক’রে থাকেন, আমাকে ও সেই উষ্ণুবৃত্তি অবলম্বন করতে হয়েছিল— অর্থাৎ প্রাইভেট টুইসনি করতে হোতো । তাইতে যা পাওয়া যেত, তাই দিয়ে, আর গ্রামের সদাশয় মৃদি প্ৰবর হরেকৃষ্ণ মাইতির দোকানোর প্রসাদে কোন রকমে দিনায়ের ব্যবস্থা করা যেত । কথাটা আতিরঞ্জন বলে কেউ মনে করবেন না। ;-বাঙ্গলা দেশের গ্রাম ও পল্লীর সাড়ে পনার-আনা শিক্ষকদেরই এই অবস্থাত্ৰিশ চল্লিশ বছর আগেও এই অবস্থা ছিল, এখনও তাই আছে ; আর যদি কখন স্বরাজ লাভ হয়, তখনও ঐ অবস্থাই থাকবে। থাক সে দুঃখ-কষ্টের কথা এখন। বলেছি তো, আমাকেও বাধ্য হ’য়ে প্রাইভেট টুইসনি করতে হোতে । ${