পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাতারি-মারীর মাঠ ঘণ্টাখানেক যেতেই জল-তৃষ্ণায় মহেশের গলা কাঠ হ’য়ে গেল । সেই বেলা সাতটা থেকে এই বৈশাখ মাসের প্রখর রৌদ্রের মধ্যে সে কাজ করেছে।--তৃষ্ণার আর অপরাধ কি ? সে তখন আর লাঙ্গল চালাতে পারল না । নিকটে গাছপালা ও নেই যে, তার ছায়ায় বসে । মহেশ অধীর ভাবে পথের দিকে চাইতে লাগিল ;--তাব শরীব আবাসন্ন হ’য়ে পড়ল ; চোক লাজে আসতে লাগল ; সেই জনহীন প্ৰান্তরের মধ্যে নিতান্ত অসন্তায় অবস্থায় সে পথের দিকে চেয়ে ফাইল ; এমন শক্তি তার নেই যে, তিন-চার মাইল পথ হেঁটে তখন বাড়ী যায় । মহেশ একবার চোক বুজে শুয়ে পড়ে, আবার উঠে পথের দিকে চায়। জাল-জাল-ওগো একটু জল ! কিন্তু কোথায় জল-কোথায় হরিমতি ! “তার পর বাবুজি, কি আর কবি । মহেশ তেষ্টার জ্বালায় পাগল হ’য়ে গিয়েছিল, পরাণ বা’র হবার আর দেৱী ছিল না । এমনি সময় সে দেখলে তার ইস্তিরী মাথায় জলের কলসী নিয়ে আসছে । মহেশ আর তখন বসে থাকতে পারলে না, একেবারে পাগলের মত উঠে দৌড়ল তার ইস্তিরীর দিকে,--আর সবুর চলে না-ঐ তো জলের কলসী ! a