চপলা বলিল, “কি জানি, বড় দিদি, জিজ্ঞাসা করিলে সেই একই উত্তর—সমানই আছি।”
মধ্যমা বধূ বলিলেন, “যাহাই হউক, ভাল মন্দ কিছু ত বুঝা যায়?”
চপলা বলিল, “ভাঙ্গিবেন, তবু মচকাইবেন না। যে দিন অসুখ বড় বাড়ে, সে দিনও কি সহজে সে কথা বলেন!”
মধ্যমা বধূ বলিলেন, “কেন, মূর্খ মানুষ অসুখের কথা শুনিলে কিছু দোষ হয় নাকি?”
চপলার নয়নে যেন বিদ্যুৎ ঝলকিয়া গেল।
শোভা বলিল, “এবার পরীক্ষায় সফল হইতে না পারিয়া ছোটদাদার শরীর একেবারে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে।”
বড় বধূ বলিলেন, “বরাবর ভাল করিয়া ‘পাস’ করিয়া এই প্রথমবার চেষ্টা বৃথা হইল। বড় লাগিবারই কথা। তোমার বড় দাদা পুনঃ পুনঃ বলিয়াছিলেন, অসুস্থশরীরে পরীক্ষা দিয়া কায নাই। ঠাকুরপো শুনিলেন না। প্রাণান্ত করিয়া পড়াই বা কেন?”
চপলা বলিল, “পাস’ করা কি এতই কঠিন কায?” সে শিশিরকুমারের অক্ষুণ্ণ সাফল্যের কথা ভাবিতেছিল।
মধ্যমা বধূ বলিলেন, “আর ‘পাসে’ কায নাই । অমনই ঠাকুরপো মানুষকে মানুষ বলিয়া গ্রাহ্য করেন না।”
শোভা বলিল, “কেন, মেজবৌদিদি, ও কথা বল কেন?”
“তোমার ভাই, তুমি কি দোষ দেখিতে পাইবে? আজকালকার
৯৬