ছেলেরা দুই পাত ইংরাজী উল্টাইলেই গর্ব্বে আর মাটীতে পা দেয় না। বাপ মা’কেই বড় গ্রাহ্য করে! আর সব ত পরের কথা।”
বড় বধূ বলিলেন, “তাহা নহে। ছোটঠাকুরপো বরাবরই ঐ রকম, গোলমাল ভালবাসে না, পড়া শুনা লইয়াই থাকিতে চাহে। এই যে এত অসুখ—ডাক্তার বলে, পুস্তক স্পর্শ করিও না, তবু কি পড়া ছাড়িয়াছে?”
শোভা বলিল, “তাই ত অসুখ সারিতেছে না।”
মধ্যমা তৎক্ষণাৎ বলিলেন, “ও কেবল বাহাদুরী। লোকে বলিবে, বড় ভাল ছেলে,—বিদ্বান। তাই ও সব।”
বড় বধূ বলিলেন, “তাহা নহে। বিশেষ পুরুষমানুষ, বিদ্বান হইবে, সে ত ভাল আকাঙ্ক্ষা।”
এমনই নানা আলোচনা হইতে লাগিল।
কিছুক্ষণ পরে চপলাকে উঠিতে দেখিয়া শোভা জিজ্ঞাসা করিল, ‘ছোটবৌদিদি, যাইতেছ যে?”
চপলা বলিল, “যাই, দাসীকে সব গুছাইয়া লইতে বলি। মা বলিয়া পাঠাইয়াছেন, সকাল সকাল গাড়ী আসিবে, হিম না লাগে।”
“এবার কয় দিন সেখানে থাকিবে?”
“তাহা এখন কেমন করিয়া বলিব? এবার কত দিন পরে যাইতেছি!”
“কত দিন ত খুব,—এখনও এক মাস পূর্ণ হয় নাই। ”
৯৭