পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२२ ৰঙ্গদর্শন। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আষাঢ়। নাই, কেহ কোনদিন বুঝিবে না। বঙ্কিমচন্দ্র বলিয়াছিলেন—“একদিনে তুমি ইহার কি বুঝিবে ?” ইহা বুঝিবার একমাত্র উপায়-জীবনপাত। রামেন্দ্রবাবুর সুন্দর ভাষায় বলিতে গেলে—“মানবজীবনের একটা গোড়ার কথা এই যে, উহা আগাগোড় একটা সামঞ্জস্তস্থাপনের চেষ্টামাত্র। বহিঃপ্রকৃতির সহিত অন্তঃপ্রকৃতির নিরন্তর সামঞ্জস্তস্থাপনের নামই জীবন।” আমাদের এই হিন্দুজাতির অতীতের জাতীয়জীবন হয় ত ধবলগিরির মত মহৎ, শীতাতপের ও জলবৃষ্টির ও তুষারবৃষ্টির উৎপাত এতদিন তিনি অকাতরে সহিয়া আসিতেছেন । অথবা আর একটু পরিচিত ভাষায় বলিতে গেলে আমাদের বিশেষ গৌরব যে, আমরা এতদিন টিকিয়া আছি। কিন্তু বিজ্ঞানশাস্ত্র যদি “র্তাহার সজীবতায় সন্দেহ করেন,” তবে অন্তত রামেন্ত্রবাবুর বোধ হয় তাহাতে আপত্তি করিবার কোন উপায় নাই। এদিকে “শত শ্রোত্তস্বিনীর সহস্রধারা তাহার কলেবরকে শীর্ণ ও বিদীর্ণ ও ক্ষীণ করিয়া তাহার অভ্ৰভেদী মস্তককে সমভূমি করিবার” উদ্যোগ করিস্বাছে । এখন যদি এই দৈবস্তুৰ্ব্বিপাকে পড়িয়া তিনি মুপ্তোখিতের ন্তায় কোন স্বাধীনচেষ্টার দ্বারা এই স ল ভ্ৰমান্ধ সন্ধিগ্ধচিত্তদিগেঞ্জ মস্তকে জলন্ত-ইন্ধনরূপী লজ্জা বর্ষণ করিতে থাকেন এবং দেখাইতে প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন যে, তিনি জীবন্ত “দেবতাত্মা নগাধি রাজ;” তবে তাহাকে ভালবাসিয়াও তাহার সেই স্বাধীনচেষ্টা ও স্বাধীনচিস্তাকে কোন এক ক্ষু গভীর ভিতর আবদ্ধ রাখিতে কে প্রাসী হইবে ? বর্তমান সময়ে মুহূর্বে মুহূর্তে বহিঃপ্রকৃতির সহিত অন্তঃপ্রকৃতির সামঞ্জস্ত নূতন করিয়া রাখিয়া চলিতে না পারিলে, কোন জাতীয়জীবনেরই স্থায়িত্বের আশা নাই। যে জাতির স্বাধীনচিন্তা যত উজ্জ্বল, যত গভীর, যত নির্ভীক, ভবিষ্যতে সেই জাতির জীবন সেই পরিমাণে সবলতা ও পূর্ণতা লাভ করিবে । আমি কেবল শূন্ত আলোচনা করিবার জন্য এ প্রবন্ধ লিখিতে বসি নাই। নির্ভীক স্বাধীনচিন্তার ভূমির উপর দাড়াইয়া স্বদেশীবিদেশী সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও সমাজতত্ত্বের প্রসঙ্গ করিবার জন্ত আমি আমার পরিচিত অপরিচিত সকল চিন্তাশীল বন্ধুগণকে অস্তরের সহিত আহবান করিতেছি। এই প্রসঙ্গ হইতে বলিতে পারি না। বিদেশপর্য্যটনের সময় আমি এই বুঝিলাম, বিদেশীরা আমাদের শাস্ত্র, আমাদের জীবনের বিষয় জানিতে চায়, কিন্তু বড়ই অসম্পূর্ণরূপে, বড়ই ভুল করিয়া জানে। আমরা কিন্তু এতকাল কেবল বিদেশীদের ভুলেরই সমালোচনা করিলাম, সেইখনেই কি আমাদের কাজের শেষ ? আমাদের শিক্ষিতেরা যে সংস্কৃতভাষায় হর্ষচরিত ও রঘুবংশ ভিন্ন আর কোন গ্রন্থ আছে, তাঁহা জানিলই ন, ইহা কি কেবল য়ুনিভার্সিটিরই দোষ ? সংস্কৃতের কথাই বা বলি কেন, বঙ্কিমচন্দ্রেরই বিষবৃক্ষ ও দুর্গেশনন্দিনী যত লোকে পড়ে, তার তুলনায় অনুশীলনধৰ্ম্ম কয়জনে পড়ে ?— অথবা পড়িয়া স্থিরভাবে তাহ বুঝিতে চেষ্টা করে ?— অথবা বুঝিবার জন্ত যে সকল উপকরণের প্রয়োজুন, তাদের জীবনে তাহ আছে ? ইহার छछ कि ८कवण दिएननेब्राहे नांद्री.? श्रांभांप्नब्र