বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=ि -e-पछाब्रप्डौ উৎসব করা হইত। বর্ষার ঠিক পরে শ্রাবণ বা ভাদ্র মাসে এই সব উৎসব হঠত। এই সময় হইতে পৌধ ৰ৷ মাঘ মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস পড়া হইত। দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রহরে অধ্যয়ন ও অধ্যাপন করিবার প্রথা ছিল । তানপায় ছাত্রের স্বভাবতঃই পড়িতে যেমন ভালবাসে ছুটি ও সেক্টরূপ পছন্দ করে। সেপাল ছুটির নাম ছিল "অনধ্যায়’ অর্থাৎ পাঠ না কলা। আজকালকার ত সেকালেও নানা কারণে ছুটি হইত। কতকগুলি তিথিতে পড়িবার নিয়ম ছিল না । যেমন, প্রতিপদ, অষ্টমী, চতুৰ্দ্দশী, অমাবস্থা ও পূর্ণিমা কতক গুলি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিলে পড়া বন্ধ থাকিত। যেমন, স্বামগুল হঠলে, সন্ধাকালে বা অকালে মেঘগৰ্জ্জন হষ্টলে, ভূমিকম্প, উল্কা বা বজ্রপাত হইলে, চক্র লা স্থমোর গ্রহণ হইলে, উত্তরায়ণ বা দক্ষিণায়ন দিনে, খুব বেগে ঝড় উঠিলে। ছুটির কতকগুলি ব্যক্তিগত কাবণ ছিল; যেমন অসুখ-বিসুখ হইলে ( যেমন, বমি, উদগার, অজীর্ণ), কোন মন্দির, শ্মশান, চৌরাস্ত । প্রভৃতি স্থানে গেলে, বা কোন যান-বাহনে কোথাও যাহতে থাকিলে পড়া বন্ধ থাকিত । কোন কোন পারিবারিক ও সামাজিক কারণেও ছুটি হুইত, যেমন, গৃহে শ্রোত্রিয় উপস্থিত হইলে, ব্রাহ্মণ অপমানিত ইহলে, গ্রামে ঝগড়া বা আগুন লাগিলে, ব্রাহ্মণ মারা গেলে, প্রান্ধে ,নিমন্ত্রিত হইলে, দেশে যুদ্ধ লাগিলে । আজকাল যেমন অনেক সময় মতি সামানা ব্যাপারের জনাও ছুটি হয়, সেকালেও যে সেরূপ হইত না তাহা ফুল যায় না। কারণ আমরা দেখিতে পাই যে, কুকুর, শেয়াল ও গাধ। ডাকিলেও ছুটির নিয়ম ছিল ! ৰীণা, ভেরী, মৃদঙ্গ প্রভৃতি বাজনা বাজিলে অথবা রথের শব্দ হইলেও পড়াশুনা বন্ধ রাখতে হইত। শাস্তি সেকালের গুরুকুলে সকলকেই নিয়ম মানিয়া চলিতে হইত। যাহার যখন যে কাজ, তাহার ৰাতিক্রম করিবার উপায় ছিল না। কেহ কৰ্ত্তব্য করিতে ক্রটি করিলে নিন্দার পাত্র হইত, তাহাই যথেষ্ট শাস্তি ছিল। গুর ইচ্ছা করিয়া ৰা রাগাম্বিত হইয়া সহজে শাস্তি দিতেন না। পাচ বৎসর পর্যান্ত লালন-পালন করিয়া পনর বৎসর পর্যাস্ত তাড়না


>○br8 করিবার নিয়ম দেখা যায় ; আমার ষোল ৰৎসর বয়স হইলে পুত্রকে মিত্রের মত দেখিতে হইত। গুরুর প্রতি সেকালে এষ্টরূপ আদেশ ছিল - “অতি তাড়না সহকারে শিষ্যাদিগকে শিক্ষা দিবে না। ধৰ্ম্ম-কামনায় যিনি শিক্ষা দান করেন, শিষ্যের প্রতি তিনি মধুর এবং নন বাক্য প্রয়োগ করিয়া থাকেন।” কোনরূপে ছাত্রের চরিত্র শোধিত না হইলে নানারূপ শাস্তির বিপান ছিল। বক, ভয় দেখান, ঠাণ্ডা জল গায় দেওয়া ও গুরুর সম্মুখ হইতে দূর করিয়া দেওয় প্রভৃতি শাস্তি দেওয়া হঠত । স্ত্রী-শিক্ষা বৈদিক যুগে সী-শিক্ষার বেশ প্রচলন ছিল ; অন্ততঃ উচ্চবর্ণের স্ত্রীলোকের শিক্ষা পাততেন । , উপনিষধের ঋলি পণ্ডিতা দুহিতার কামনা করিয়াছেন। যে সব স্ত্রীলোক লেখাপড়া শিথিয় বিবাহ করিতেন, র্তাহাদিগকে সঙ্গোবধু বলা হহঁত , তাহার গুহস্তাগীর কাজও শিক্ষা করিতেন। আর যাহারা বহুদিন বা সারাজীবন ৰেদ আলোচনা করিতেন এবং বিবাহ করিতেন না, তাহাঁদের উপাধি ছিল ব্রহ্মবাদিনী । বেদের কোন কোন মৰ্ম্ম গ্ৰহ্মবাদিনীদিগের দ্বার। রচিত বলিয়া জানা যায়। সঙ্কোবধু ও ব্রহ্মবাদিনী উভয় শ্রেণীর ছাত্রীদেরই উপনয়ন ও উপবীত ধারণ করিবার অধিকার ছিল। পরবর্ত্তীযুগে তাঙ্কাদের এই অধিকার অস্বীকার করা হইয়াছিল। দক্ষিণ প্রাচীনকালে বিদ্যা দানের বহু বলিয়া মনে করা হইত। সেইজন্য শিষ্যগণ বিনা খরচে শুধু বিদ্যা নয়, গাওয়া-পরা ও পাছত । তবে গুরুর গুহ হইতে পড়াশুনা শেষ করিয়া বাড়ী চলিয়া যাইবার সময় গুরুকে সস্তুষ্ট করিতে হইত। ইছার নাম ছিল দক্ষিণ । এ সম্বন্ধে নিয়ম এইরূপ ছিল—“যে শিষ্ণু ধৰ্ম্ম কি তাহা জানে সে গুরুর গৃহ হইতে বাড়ী ফিরিবার পূৰ্ব্বে গুরুকে দক্ষিণাস্বরূপ দান দিবে না ; পরে যখন গুরুর আজ্ঞামুসারে পড়া শেষ করিবে, তখন গুরুকে যথাশক্তি দক্ষিণ দিবে। তখন ক্ষেত্র, সুবর্ণাদি, গো, অশ্ব, ছর, চৰ্ম্মপাদুকা, আসন, ধানা, শাক, বস্ত্ৰ—যাহা কিছু হউক, গুরুকে দিয়া গুরুর প্রীতি উৎপাদন করিবে।” অনেক সময়ে গুরু এমন সব জিনিষ চাহিতেন; যাহা লংগ্ৰহ করিতে শিষ্যকে বহু বেগ পাইতে হইত। ---