পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় ૨૦ છે বাণিজ্যের উন্নতি—ভাগিরথী বক্ষে ইংরাজের প্রথম বাণিজ্য জাহাজ “ফ্যাক্ষনের" প্রবেশ-জাহাজের কাপ্তেন ষ্টাফোর্ড সম্বন্ধে একটা রহস্যজনক ঘটনা-কাৰ্য্যসূত্রে ইংরাজের সহিত বাঙ্গালীর সর্বপ্রথম পরিচয়—য়তন সরকারের সম্বন্ধে রহস্যকর ঘটনা—সেকালের বাঙ্গালীর ইংরাজীজ্ঞানের নমুনা। বালেশ্বরে ইংরাজ কুঠার কৰ্ম্মচারীদের অবস্থা যখন এইরূপ বিশৃঙ্খল, বং উহারা বালেশ্বর ত্যাগ করিয়া, খাসবাঙ্গালায় প্রবেশ করিতে ইচ্ছক, তখন আরও কয়েকটা ঘটনা, ইংরাজদিগকে বালেশ্বর ত্যাগ করিতে Iাধা করিল। এই সময়ে মান্দ্রাজ ও মসলিপটনের বাণিজ্য, ক্রমে হতশ্ৰী ইয়া পড়িতেছিল। অপরন্তু ঐ সকল প্রদেশে, দেশীয় নৃপতিগণের প্যে, ক্রমাগতঃ আত্ম-দ্রোহজনিত যুদ্ধবিগ্রহে এবং করাল দুর্ভিক্ষের প্রাদুর্ভাবে, করমণ্ডল উপকূলের ইংরাজ-বাণিজ্য অতি শোচনীয় অবস্থায় উপস্থিত হইল । . . এই সকল কারণে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কর্তৃপক্ষেরা, করমণ্ডল উপকুল ৪ বালেশ্বরের বাণিজ্যের উপর নির্ভর না করিয়া, খাস বঙ্গদেশে বাণিজ্য বিস্তারে মনোযোগী হইলেন । বিধাতা তাহদের প্রতি সদয় হইয়া এ সম্বন্ধে একটা সুবিধাও ঘটাইলেন । কোম্পানীর “ছোপওয়েল” জাহাজের ডাক্তার ছিলেন—গেত্রিয়েল বেটন। এই বেটন সাহেব, সেকালের ইংরাজদের মধ্যে আত্মত্যাগের আদর্শ। তাহার অমানুষিক স্বার্থত্যাগের জন্যই, তিনি স্বজাতির যথেষ্ট উপকার করিতে সমর্থ হন । বেটন ইচ্ছা করিলে, এই ঘটনা উপলক্ষে নিজের অবস্থা পরিবর্তন করিয়া লইতে পারিতেন, কিন্তু তিনি স্বজাতির স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ মঙ্গলের দিকে লক্ষ্য করিয়া, তাহ করেন নাই। এজন্য তিনি ইতিহাসে চিরপ্রসিদ্ধ হইয়া রহিয়াছেন । ব্যাপারটা কি, তাহ বলিতেছি। সাহাজাদী জাহানআর দিল্লীশ্বর সাহজাহানের প্রিয়তমা জ্যেষ্ঠ কন্যা। পিতার কক্ষ হইতে একদিন গভীর রাত্রে, নিজ কক্ষে প্রত্যাগমনকালে, কক্ষগাত্রস্থ দীপালোকে, তাহার ওড়নায় একাংশে আগুন ধরিয়া যায়। যেস্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে, সেস্থানে চীৎকার করিবারও কোন উপায় ছিল না। পাছে রমণীকণ্ঠ নিঃস্বত চীৎকার, পুরুষের কর্ণগোচর হয়, আর সে চীৎকার ধ্বনি রঙ্গমহলের বাহিরে যায়, এই ভয়ে নারীসন্ত্রম রক্ষার জন্য, সেই বিপদময় জলন্ত অবস্থাতেই, সাহজাদী জাহান আর, নিজকক্ষে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। এই দুর্ঘটনায় তাছার জীবনের কোন