পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । లిపిడి “বলহে এন্টনি আমি একটা কথা জানতে চাই, এসে এদেশে, এবেশে, তোমার গায়ে কেন কূৰ্ত্তি নাই ।” এণ্টনি ইহার যে জবাব দিলেন, তাহাতে ঠাকুর সিংহকে হঠিতে श्रुझेळा । বর্তমানকালে এ জবাব মুরুচি সঙ্গত না হইতে পারে, কিন্তু তখনকার কালে এরূপ জবাবে শ্রোতারা বড় আনন্দ উপভোগ করিতেন । এণ্টনি, ঠাকুর-সিংহকে “শালিক" সম্বোধন করিয়া, তাহার আক্রমণের প্রতিশোধ লক্টলেন। তিনি বলিলেন— “এই বাঙ্গলায়, বাঙ্গালীর দেশে, আনন্দে আছি, হয়ে ঠাকুরে-সিংহের বাগের জামাই, কুৰ্বি টুপি ছেড়েছি।” একবার প্রসিদ্ধ কবিওয়ালা রামবসু আসরে দঁাড়াইয়া, সাহেবকে গুলি দিয়া পূৰ্ব্বপক্ষ করিলেন— - “সাহেব ! মিথ্যে তুই কৃষ্ণপদে মাথা মুড়ালি । ও তোর পাদর সাহেব, শুনতে পেলে, দেবে চণকালী।" সাহেব উত্তর দিলেন— খুষ্টে আর কুষ্ণে, কিছু ভিন্ন নাইরে ভাই । শুধু নামের ফেরে, মানুষ ফেরে, এও কোথা শুনি নাই । আমার যীশু যে, হিন্দুর হরি সে, ঐ দেখ শ্যাম দাড়িয়ে আছে— আমার মানব জনম সফল হবে, যদি রাঙ্গী চরণ পাই । এণ্টনি সাহেব ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে উদার পন্থাবলম্বী ছিলেন । র্তাহীর মতে কৃষ্ণ, খৃষ্ট, খোদা, হরি সবই এক। এই জন্যই তিনি প্রাণের আবেগে গাহিয়াছিলেন - డ• “আমি ভজন সাধন জানিনে মা—জেতে অধম ফিরিঙ্গি, আমায় দয়া করে কুপাকর -ওমা শিবে মা ইঙ্গী ।” যাহা হউক, বহু চেষ্টায় ও অনুসন্ধানে আমরা নানাস্থান হইতে জব চার্ণক সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য কথাগুলি এস্থানে লিপিবদ্ধ করিলাম। সেকালের পুরাতন-দপ্তরের অনেক ভাল ভাল রেকর্ড নষ্ট হইয়া গিয়াছিল। এই পুরাতন রেকর্ডগুলি যত্বে রাখিবার জন্যই, জব চাণক মজুমদারদের কাছারী বাড়িটা লইতে বাধ্য লন । ১৭১৩ সালের মুহাঝড়ে অনেক কাগজ-পত্র নষ্ট হইয়া যায়। তৎপরে নবাব সিরাজদৌলার আক্রমণ সময়েও অনেক দরকারী কাগজ-পত্র অগ্নিদগ্ধ হয়।