পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায়। শু৫১ ভয় নাই। ধুলোপড় ছড়াইয়া দিয়াছি। বাড়ীর সকলে নিশ্চয়ই মড়ার মত ঘুমাইবে । বা তোরা সিন্দুক ভাঙ্গিয়া টাকা লইয়া আয়।” বনমালী পাচিল টপকাইয়া, তাহার সঙ্গীদের সহিত বাগানের ভিতর পড়ে। বাড়ীর ঘর দ্বার সবই তার জানা শুনা ছিল, সুতরাং গে অতি সহজে যে ঘরে টাকা খাকিত, সেই ঘরে যায়। সেই ঘরের মধ্যে, কর্তা স্বয়ং ঘুমাইতেছিলেন। বাড়ীর মধ্যেও চাকর বাকর প্রভৃতি লইয়া ৬৪ জন লোক ছিল। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, বনমালী ও গোবিন্দরাম অতি সহজেই সিন্দুক খুলিয়া সমস্ত টাকা কড়ি সংগ্ৰহ করিয়া পলাইয়া যায় । গোবিন্দরাম চক্রবর্তী তাহার বখরা লইয়া, সেই রাত্রেই স্ত্রীরামপুরে চলিয়া গিয়াছিল। শীতকাল, পৌষমাল। কাজেই রাত্রে এ ঘটনাটা কোনরূপে প্রকাশ হইল না । পরদিন প্রাতে সকল কথা জানিতে পারিয়া, রামকান্ত মুন্সী প্রধান সহর কোতোয়াল, মট সাহেবকে সংবাদ দেন। মট সাহেব আসিয়া অকুস্থল দেখিয়া বলেন—“জানাশুনা লোকের সহায়তা ভিন্ন একাজ হয় নাই।” পরিশেষে বনমালীর উপর সন্দেছ হওয়ায়, তাহাকে পাকড়াও করা হয়। বনমালী সমস্ত দোষ, গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর ঘাড়ে চাপায় ও সমস্ত ঘটনা বলিয়া ফেলে। মিঃ বাই, তখন স্ত্রীরামপুর দিনেমার সেটেলমেন্টের কৰ্ত্তা। ইংরাজ-পুলিশ পৱ লিখিয়া মিঃ . বাইয়ের সহায়তায় গোবিন্দরামকে গ্রেপ্তার করান। গেৰিন্দরামও তাহার সঙ্গীদিগকে ভিন্ন ভিন্ন গৃহে আটক করিয়া রাখা হয়। বনমালীও হাজতে যায়। শেষ নিরুপায় হইয়া কঠোরশাস্তির ভয়ে, গোবিন্দরাম হাজতের মধ্যে গলায় দড়ি দেয় । ( ২৪।১।১৭৮৫ ) সেকালের বজরা ও নৌকার ভাড়া। ডাক-পালকীতে যাইবার খরচপত্রের একটা তালিকা আমরা ইতিপূৰ্ব্বে দিয়াছি । তাহা হইতে পাঠক স্থলপথে যাতায়াতের ভাড়ার পরিমাণ জানিতে পারিয়াছেন। নিম্নলিখিত তালিকা হইতে পাঠক জানিতে পরিবেন, সেকালে বজরা, নৌকা ও বড় বোট সমূহের ভাড়া কিরূপ ছিল। তখন কলিকাতা পুলিশ-অফিস, এই সমস্ত বোট ও বজরার বন্দোবস্ত করিতেন । পুলিসের অধীনেই এই বোট-বিভাগটা ছিল । পুলিস জানিয়া শুনিয়া, বিশ্বাসী লোক দেখিয়া দাড়ি-মাঝি নিৰ্ব্বাচন করিতেন । ১৭৮১ * অন্ধের ১ মার্চ তারিখের এক পুলিশ বিজ্ঞাপনী হইতে আমরা এই ভাড়ার ও কলিকাতা হইতে নদীপথে মান স্থানে পৌছিৰার সমর জানিতে পারি। ‘. . -