পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११२ কলিকাতা সেকালের ও একালের নাম “ডিজাভাঙ্গা” হইয়াছে। ১৭৩৭ খৃঃ অন্ধের মহাঝড়ে, এই জাহাজখানি গন্ধাগর্ত হইতে বিতাড়িত হইয়া এই খানে উপস্থিত হয়, ও তৎপরে চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া যায়। হউইট সাহেবের অতি পুরাকালে লিখিছু ইংলণ্ডের ইতিহাসে “ভারতে ইংরাজ-বাণিজ্য ও কলিকাতা-সেটেলমেণ্ট" প্রস্তাবে, এই খালের একটি নক্সা দেওয়া আছে। তাহা হইতে প্রমাৰ হয়, পূৰ্ব্বোল্লিখিত এই খালটি, কলভিন ঘাট বা কাচাগুড়ি ঘাট হইতে আরম্ভ হই। হেষ্টিংস-স্ট্রীটের অধিকৃত স্থান দিয়া, পুরাতন সমাধিক্ষেত্রের পাশ্ববাহিনী হইয়। (এই পুরাতন সমাধিক্ষেত্র বর্তমান কালের সেন্টজন গির্জার পাশ্বস্থ ভূমি) বরাবর ধৰ্ম্মতলার দিকে চলিয়া গিয়াছিল। ১৭৫২ খৃঃ অন্ধে উইলসের ম্যণ্ডপ, খালের চিহ্ন স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। এই ম্যাপে দেখা যায়, বৰ্ত্তমান হেষ্টিংস্ট্রীট ও কাউন্‌সিল-হাউস ট্রীটের সন্ধিস্থলে, এই খালের উপর একটি পুল ছিল । অৰ্ম্মিও, এই খালের কথা উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ৰপ্তমান ওয়েলিংটন স্কোয়ারে জলের যে ট্যাঙ্ক আছে, তাহা এই খালের গর্ভের উপর নিৰ্ম্মিত । আগে এই স্থান ডিঙ্গাভাঙ্গা নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তী কালে “ক্রিকুরো” “ওয়েলিংটন-স্কোয়ার” ইত্যাদি বিবিধ নামকরণ হইয়াছে। এই খাল বুজাইয়া, জমীভরাট করা, পূৰ্ব্বোক্ত “লটারিকমিটির” দ্বারাই হইয়াছিল। ১৮২১ খ, অব্দের কলিকাতা গেজেটে হইতে জানা যায়, পুরাকালে এই সমতল ক্ষেত্র “ধৰ্ম্মতলা-স্কোয়ার” বলিয়া পরিচিত ছিল। তখনও ইহার নাম “ওয়েলিংটন-স্কোয়ার” হয় নাই। বেণ্টিঙ্ক-ষ্ট্রট । ভারতের প্রসিদ্ধ গৰণুর-জেনারেল, লর্ড উইলিয়াম বেপ্টিঙ্কের নামে এই পথ্যার নামকরণ হইয়াছে। পুরাকালে এই স্থান “কসাইটোলা” নামে পরিচিত ছিল । কসাই শ্রেণীর নীচ জাতীয় লোকে এইস্থানে বাস করিত ৰলিয়, এইরূপ নামকরণ হইয়াছিল। চিৎপুর হইতে বরান্ধৱ একটী জঙ্গলময় বনপথ, বৰ্ত্তমান বেণ্টিঙ্ক-ট্রীটের উপর দিয়া আসিয়া ধৰ্ম্মতলায় মিশিয়াছিল ও তাহা চৌরঙ্গীর জঙ্গলের মধ্য দিয়া কালীঘাটে চলিয়া গিয়াছিল। ইহাই সেকালের “কালীঘাট-যাত্রীর” পুরাতন পথ। পলাশী-যুদ্ধের বৎসরেও এই সমস্ত স্থান জঙ্গলপূর্ব ছিল। কারণ পুরাতন নক্সা সমূহে, বর্তমান বেষ্টিক ট্রীটের পূর্বদিকের স্থানগুলি কেবল বৃক্ষ ও ঝোপ দ্বারা চিহ্নিত দেখা যায়। ৭৮. খ্ৰীঃ আশ্বের এক বিবরণী হইতে জানা যায়—বৃষ্টির ফলে অতীত