অন্যায় কাজ করি নাই। যে যা বলে বলুক, না, কি বল গিন্নি, আমি খাঁটি আছি।”
রমাসুন্দরী বলিলেন “আমার কথা তা হলে বুঝেছিস্ ত! তবে আর অমন করছিস্ কেন?”
মানদা তেমনই ধীর ভাবে বলিলেন “তা ত বুঝেছি গিন্নি, কিন্তু লোকে কি বলবে? সকলে যে আমাকে কত কি বল্বে—আমার সঙ্গে কথা বল্বে না। তা হলে আমি কেমন করে বাঁচব? তা হলে আমার সুহারের কি গতি হবে? তার যে বার বছর বয়স হোলো। তাকে কে নেবে গিন্নি! আমার সুহার!”
রমামুন্দরী বলিলেন “সে কথা যে তোকে একটু আগেই আমি বল্লাম, তা বুঝি শুনতে পাস্নি; তুই স্থির হয়ে শোন্। আমি তোদের দেবীপুরে নিয়ে যাব। সেখানে কেউ তোকে ঘৃণা বা তাচ্ছিল্য করতে পারবে না। আর যেমন করে হোক, তোর সুহারকে আমি ভাল ঘর বর দেখে বিয়ে দিয়ে দেব।”
মানদা বলিলেন “তা আর হয় না গিন্নি! আর হয় না। মনে ত বল বেঁধেছিলাম; কিন্তু সব যে ভেঙ্গে পড়ে। তা আর হবে না।”
রমাসুন্দরী বলিলেন “হয় কি না হয়, সে আমি দেখে নেব। তুই এখন একটু ঘুমোবার চেষ্টা কর্ দেখি!”
মানদা বলিলেন “হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিক কথা বলেছ! আহা, ঘুমাতে হবে বই কি! ঘুমই যে এখন আমার একমাত্র পথ। মা দুর্গা, আমার চোখে একবার ঘুম এনে দাও মা! সে ঘুম যেন আর না