পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি বিবাহে যোগদানে সাহসী হন নাই, তাহাদের পুত্ৰ-ভ্রাতুপুত্র, ভাগিনেয় বা জামাত প্রকাগু ভাবে এই বিবাহে যোগদান করিলেন । দেশের মধ্যে একটা সাড়া পড়িয়া গেল। বিপক্ষ দলও এই কার্য্যে বাধা দিবীর চেষ্টা করিল ; কিন্তু, দেবীপুর অঞ্চলে সিদ্ধেশ্বর হরিহরের অপেক্ষ অধিক ক্ষমতাশালী জমিদার আর ছিল না ; কাজেই বিপক্ষ দলের চেষ্টায় শুভকার্য্যের কোন অঙ্গহানি হইল না । বিবাঙ্গের দিন অপরাহ্ল-কালে পণ্ডিতমণ্ডলীর এক সভা হইল । অনেক আলোচনা, অনেক তর্ক-বিতর্কের পর স্থির হইল যে, যে বালিকার সহিত হরিহরের বিবাহ হইতেছে, সে বালিকার জন্মের বার বৎসর পরে যখন এই অনর্থ সংঘটিত হইয়াছে, তখন বালিকার কোন অপরাধই হয় নাই । তাঁতীকে সমাজে গ্রহণ করা যাইতে পারে। তবে যে সাধবী দুৰ্ব্বলের অত্যাচারে এই ভাবে নিগৃহীত হইয়া থাকে, তাহাকে সমাজে গ্রহণ করা সম্বন্ধে শাস্ত্রে বিভিন্ন বিধান আছে ; কিন্তু ন্যায় ও যুক্তি এই নিরপরাধার সপক্ষেই মত দিবে। ব্রাহ্মণ-মণ্ডলী ইহার অধিক আর অগ্রসর হইতে পারিলেন नl । বিবাহ নিৰ্ব্বিঘ্ৰে শেষ হইয় গেল। দেশের অনেক ব্রাহ্মণই আসিয়াছিলেন ; পণ্ডিতগণ ও যথাযোগ্য বিদায় ও পাথেয় পাইয়। বর-কন্যাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । একজন প্রধান পণ্ডিত সিদ্ধেশ্বরকে বলিলেন “বাবা, সমাজে এ সকল চালাইয়া লওয়া অতীব কৰ্ত্তব্য। কিন্তু আমরা বৃদ্ধ হইয়াছি, আমাদের সে বল নাই, প্রকৃত > @や