পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোহারু সেগুণ, বীজ, শাল, মহুয়া ও কুসুম বৃক্ষ পাওয়া যায়। সেগুণ কাষ্ঠ কাটিয়া নষ্ট হওয়ায় অনেক কম হইয়া পড়িয়াছে। এই সকল বনে লাক্ষা, মোম ও মধু সংগ্ৰহ করিয়া গোড়গণ বাজারে বিজু করিতে আইসে। বারাগণ এখানে আসিয়া শণ ও তুলা ক্রয় করে। এখানে খনিজ লৌহ গালাই হইয়া থাকে। এখানকার অধিকারী গোড় জাতীয় রত্নপুররাজের অধীনে যুদ্ধবিগ্রহে বিশেষ সহায়তা করায় এই বংশের কোন রাজা ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দে এই সম্পত্তি জায়গীর স্বরূপ প্রাপ্ত হন। লোহারা গণ্ডগ্রামখানি বেশ সমৃদ্ধিসম্পন্ন, এখানে গবমেন্টের সাহায্যকৃত বিদ্যালয়, জমিদারের স্বব্যয়ে রক্ষিত থানা ও সাধারণের বায়ু সেবনাৰ্থ সুন্দর উদ্যান আছে। লোহার সাহসপুর, মধ্য প্রদেশের রায়পুর জেলার দুর্গ তহসীলের অন্তর্গত একটা ভূসম্পত্তি। ভূপরিমাণ ১৯৭ বর্গ মাইল । এখানে সৰ্ব্ব সমেত ৮৫ থানি গ্রাম ও প্রায় ৫০ হাজার ঘর লোকের বাস আছে। শালেটিক্ৰী শৈলের জঙ্গলাবৃত নিম্ন প্রদেশ লইয়া এই জমিদারীর অধিকাংশস্থান গঠিত। প্রসিদ্ধ ও পণ্টারিয়া বংশের সহিত এথানকার ভূম্যধিকারদিগের কুটুম্বিতা আছে। এই স্থান সমধিক উৰ্ব্বর। এখানে নানারূপ শস্ত পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। লোহারা-সাহসপুর এখানকার প্রসিদ্ধ বাণিজ্য স্থান । লোহারি নাইগ, যুক্ত প্রদেশের গড়বাল জেলার অন্তর্গত একটা জলপ্রপাত। অক্ষা ৩৭°৫৭' উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৮৪৪ পূঃ । কএকটা পৰ্ব্বতস্তর ভীমবেগে অতিক্রমের পর এই বিপুল জলরাশি ভাগীরথী বক্ষে আসিয়া নিপতিত হইয়াছে। এখানে [ ৩২৯ ] ভাগীরথী-তীরে একট প্রশস্ত রাস্ত আছে। প্রপাত হইতে ১০ মাইল দক্ষিণ পৰ্য্যন্ত নদীতীরস্থ রাস্তার ধারে ৬টী দড়ির ঝোলা সেতু আছে। উহা সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৭৩৮৯ ফিট উচ্চ। লোহারু, পঞ্জাব প্রদেশের হিসার বিভাগের কমিসনরের রাজকীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটী দেশীয় সামস্ত রাজ্য। অক্ষা, ৩৮° ২১৩০% হইতে ৩৮°৪৫' উঃ এবং দ্রাঘি” ৭৫°২২′ হইতে ৭৫°৫৭ পূঃ মধ্য । আহ্মদ বক্স খী নামক একজন মোগল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ইনি ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে আলবাররাজের দূত স্বরূপ ইংরাজ সেনাপতি লর্ড লেকের নিকট গিয়া পরম্পরের রাজকীয় সম্বন্ধনির্ণয়ের প্রস্তাব মীমাংসা করিয়া যান। এই কার্য্যের পুরস্কার স্বরূপ ইনি আলবারপতির নিকট হইতে লোহারু জনপদ লাভ করেন এবং লর্ড লেক কৃতজ্ঞ হৃদয়ে তাহাকে ফিরোজপুর পরগণার শাসনভার সমর্পণ করেন। ইংরাজের সহিত সন্ধি অনুসারে ইনি বিশ্বাস রক্ষাপূর্বক যুদ্ধবিগ্রহে সাহায্য করিতে প্রতিশ্রত থাকেন। XVII tro লোহাগল আহ্মদের মৃত্যু হইলে জ্যেষ্ঠ পুত্র সমস্ত উদ্দীন খাঁ পিতৃসম্পত্তির অধিকারী হন, কিন্তু ১৮৩৫ খৃষ্টাৰো রেসিডেন্ট মিঃ ফ্রেজারের হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অপরাধে দিল্লীনগরে তাহার ७धांभन७ श्द्र । ईश्ब्राखद्रांछ ॐीहांग्न श्रांछद्र:१ दिद्रख् इहेब्र ফিরোজপুর পরগণা বাজেয়াপ্ত করেন। অবশেষে আমীন উদ্দীন খাঁ ও জিয়াউদ্দীন খা নামক সামসউদ্দীনের অপর দুই ভ্রাতাকে লোহার সম্পত্তি বিভাগ করিয়া দেওয়া হয়। ১৮৫৭ খৃষ্টাৰোঁর সিপাহিবিদ্রোহের সময় উক্ত ভ্রাতৃদ্বয় দিল্লীতে বাস করিতে ছিলেন। বিদ্রোহীকর্তৃক দিল্লী অবরোধকালে ইংরাজপ্রতিনিধিগণ র্তাহাদের উপর কড়া পাহারা দিয়াছিলেন। তাঙ্গর বিদ্রোহে যোগদান না করায় ইংরাজ গবমেন্ট বিদ্রোহ থামিলে পর তাহাদিগকে মুক্তি দিয়া পুনরায় রাজপদ ভোগ করতে দিয়াছিলেন। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে আমীন উদীনের মৃত্যু হয়। ঐ সময়ে তাহার পুত্র আলা উদ্দীন লোহারুর নবাবী মসনদে আরোহণ করেন। পূৰ্ব্বে ইংরাজরাজের বন্দোবস্ত অমুসারে আমীনের ভ্রাতা জিয়া উদ্দীন সহকারী নবাব হইলেও বাস্তবিক পক্ষে তিনি এই রাজ্যের শাসনবিষয়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতে পারেন নাই । তিনি ইংরাজরাজের নির্দিষ্ট ১৮০০০ টাকা বার্ষিক বৃত্তি লইয়া সস্তুষ্ট ছিলেন। ইংরাজ গবমেন্টের বিশ্বাসভাজন হওয়ায় এবং ইংরাজরাজের আনুগত্য স্বীকার করায়, ভারত গবমেণ্ট ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে আলউদ্দীনকে নবাব উপাধি ও দত্তকগ্রহণের অধিকার দান করিয়া একখানি সনন্দ দেন। ১৮৮৪ খৃষ্টাৰো এই রাজা ঋণজালে জড়িত হইয় পড়ায় সম্পত্তিরক্ষার জন্ত ১২ বৎসরে শোধ করিবার মিয়াদে স্থানীয় গবমেন্টের নিকট ঋণ গ্রহণ করেন। এই সময়ে লোহারু রাজ্যের পরিচালনভার আলাউদ্দীনের পুত্রের হস্তে ন্যস্ত হয় এবং নবাব আলাউদ্দীন অন্যতম সামন্ত জিয়াউদ্দীনের ন্যায় বার্ষিক ১৮ হাজার টাকা মাসহরা পান। এই সম্পত্তির ভূপরিমাণ ২৮৫ বর্গমাইল। এখানে ৫৪টা গ্রাম আছে। লোহারু নগর এখানকার প্রধান বাণিজ্যস্থান। গুরগাও জেলার ফরুখনগরে এখানকার নবাবগণ প্রায়ই বাস করেন। লোহাগল (কী) লৌহস্ত অলিমিব। তীর্থ বিশেষ। বরাহ পুরাণে এই তীর্থমাহাত্ম্য বর্ণিত আছে । “ততঃ সিদ্ধবটে গত্বা ত্রিংশদযোজনদুরতঃ । ম্লেচ্ছমধ্যে বরারোহে হিমবস্তং সমাশ্রিতম্ ॥ তত্ৰ লোহার্গলং নাম নিবাসো মে বিধীয়তে। গুহা; পঞ্চদশাং যত্র সমস্তাৎ পঞ্চযোজনম্ ॥” (বরাহপুৰ লোহার্গলমাহাত্ম্য" ) ২ লৌহকীলক ।