বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান – খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। 8 a গুয়া পাণ কাটিয়া শুভাশুভ বুঝিল। বিবাহের দিন তখনই করিল। শনিবার দিন ময়না অধিবাস দিল। রবিবার দিনা বিবাহ করিবার সাজিল ৷ পঞ্চ গাছি কলার গাছ হরিচন্দ্র রাজার মহলত গাড়িল। বিবাহের যৌতুক। সোণালী চালুন বাতী তখনই ধরাইল। পঞ্চ বৈরাতী (১) তখনই আনিল ডাক দিয়া। উলু উলু শব্দ করিবার লাগিল। অদুনাক দিয়া বিবাহ দিল পাছনাক দিল দানে। এক শত বান্দী দিলে ব্যবহার কারণে॥ এক শত তালুক দিল দানে ধরিয়া। এক শত হস্তী দিল দানে ধরিয়া॥ এক শত ঘোড়া দিল দানে ধরিয়া। এক শত গাভী দিল দানে ধরিয়া॥ বিবাহ দিয়া রাজাকে বিদায় দিল। তখনই ময়নামতী যত রাজ্যের রাজাকে নিমন্ত্রণ করিল॥ সেইত ধর্ম্মী রাজা গোপীচন্দ্র পাট দিল (২)॥ আঠার বরিষে গোপীচন্দ্র রাজা। রাজা গোপীচন্দ্রের বৃদ্ধ মাতার আজ্ঞায় সন্ন্যাস হইয়ে যায়। সন্ন্যাস-গ্রহণ। একশত সুন্দরী কন্দে চরণ ধরিয়া। ঐত ধর্ম্মী রাজা না যাও ছাড়িয়া। (৩) না যাইও না যাইও রাজা দূর দেশান্তর। আছন প্রভৃতির খেদ কারে লাগিয়া বান্ধিলাম শীতল মন্দির ঘর॥ বান্ধিলাম বাঙ্গাল ঘর নাহি পড়ে কালী। এমন বয়সে ছাড়ি যাও আমার বৃথা গাৰুৱাণী॥ (১) বরযাত্রী। (২) পাট দিল=সিংহাসন দিল, অর্থাৎ রাজ্যাভিষেক করিল। (৩) মিত্রাক্ষর ছন্দে লিখিত বাঙ্গাল পদ্যের পূর্বাদ্ধে এক দাড়ি (।) এবং শেষার্দ্ধে দুই দাড়ি (॥) দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু যেখানে পদ্যের শুধু প্রথমাৰ্দ্ধ আছে সেখানে এক দাড়িতে শেষ করা হইয়াছে; আর যেখানে শুধু দ্বিতীয়াৰ্দ্ধ আছে, সেখানে দুই দাড়ি পড়িয়াছে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৬৯
অবয়ব