○8之 তপোবনে প্রবেশ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সহস্ৰ সহস্ৰ হানি মারে নিরন্তর। প্রাণভয়ে পশু সব যায় দিগন্তর॥ হস্তিনী ঠেলিয়া দন্তে মত্ত হস্তী ধাএ। বৎসরে শৃঙ্গেতে ঠেলি মহিষী পলাএ॥ ব্যাঘ্র ভালুক ধাএ শূকর বানর। কোলাহল শব্দ করে যত বনচর॥ 肇 豪 肇 拳 পৃষ্ঠে মুখ দৃষ্টি করি মৃগ সব ধায়ে। বৎস-সঙ্গিনী কুরঙ্গিণী ব্যাকুল হৈল ঘাএ॥ জলপান হেতু কেহ জলাশ্রমে গেল। ক্ষুধাতুর হৈয়া কেহ মাংস সিদ্ধ কৈল। শকুনি সাচান তথা আকাশে শোভিল। মাংস আশে শৃগাল সবে সে বন বেড়িল। জলকেলি করি কেহ কৌতুক করন্ত। মৃগয়ার বেশে রাজা দুষ্মন্ত ভ্রমন্ত॥ বহু বন উপবন যদি এড়ি গেল। মুনিগণ বৈসে যথা সে বন পাইল। সেই খানে পঞ্চ শিলা অক্ষয় নামে বট। বদরিক নারায়ণের আশ্রম নিকট॥ 肇 肇 囊 肇 তৃষ্ণায় আকুল রাজা শরীর ঘামিল। মৃগ পাশে ধাইতে যে দেখি কুতূহল॥ 球 肇 肇 影 মৃগয়া দেখি সেই বনমধ্যে যাইতে। কেবা মোহ না যাএ সে বন দেখিতে॥ শীতল পবন বহে সুগন্ধী বহে বাস। ফলে মূলে বৃক্ষ সব নাহি অবকাশ। করস্ত মধুর ধ্বনি মত্ত পক্ষিগণ। অতি বড় প্রতে খেলে পক্ষিণীর সন॥ মন্দ মন্দ বায়ুএ বৃক্ষ সব লড়ে। ভ্রমরের পদভরে পুষ্প সব পড়ে। নব নব শাখা গাছি অতি মনোহর। থোপা থোপা পুষ্প লড়ে গুঞ্জরে ভ্রমর॥