অষ্টম অধ্যায়
বুদ্ধ ও রৌদ্ধজাতক
জীব যতদিন মুক্তিলাভ না করে ততদিন তাহাকে বারংবার নানা আকারে জন্মগ্রহণ করিতে হয়। এইরূপ উক্ত হইয়াছে ভগবান বুদ্ধ নির্ব্বাণলাভের পূর্ব্বে ৫৫৫ বার নানা আকারে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। গৌতম বুদ্ধ যখন মহাবোধি লাভ করেন তখন তিনি এমন অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন যে, সৃষ্টির প্রথম হইতে কতবার জন্মিয়াছেন, কোথায় জন্মিয়াছেন, কি প্রকারে তিনি মুক্তির দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন সমস্তই তাঁহার দিব্যদৃষ্টি গোচর হইয়াছিল। তিনি যখন লোকহিতার্থ সাধারণের নিকট তাঁহার কল্যাণকর সদ্ধর্ম্ম ব্যাখ্যা করিতেন তখন অনেক সময়ে আপনার পূর্ব্বজীবনের আখ্যান বিবৃত করিয়া লোকের মনে ধর্ম্ম ও নীতিমূলক উপদেশ মুদ্রিত করিয়া দিতেন।
জাতকের আখ্যানগুলির বক্তা স্বয়ং ভগবান্ বুদ্ধ। সুতরাং ঐ আখ্যানোক্ত ঘটনাগুলি যে তাঁহার আবির্ভাবের পূর্ব্বেও ঘটিয়াছিল তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই। জাতকের আলোচনা করিয়া সুবিজ্ঞ ঐতিহাসিক রিসডেভিডস্ ও জর্জ্জ বুলার প্রভৃতি সুধীগণ বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছেন। তাঁহারা মনে করেন যে, জাতকগুলির মধ্যে বুদ্ধের আবির্ভাবকালের এবং তাঁহার অভ্যুদয়ের পূর্ব্ববর্ত্তী সময়ে উত্তরভারতে সামাজিক, নৈতিক ও আর্থিক কিরূপ অবস্থা ছিল তাহা জানিতে পারা যায়।
মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নারায়ণ পত্রিকায় “জাতক ও অবদান” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন—“পালিভাষার গ্রন্থে