পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতি-বিভাগ H6: কিন্তু , অমুলেীম সঙ্করদিগকে লইয়। সমাজে গোলযোগ বাধিল ; তাহদের মধ্যে কেহ পিতার ধৰ্ম্ম, কেহ বা মাতৃকুলের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া চলিতে চাহিল,অথচ বিশুদ্ধ দ্বিজাতিগণ র্তাহাদিগকে প্রকৃষ্ট অধিকার দিতে ও প্রকৃষ্ট জাতি বলিয়৷ সমাজে গ্রহণ করিতে সহজে সম্মত হইলেন না । কাজেই একটা সঙ্ঘর্ষ উপস্থিত "হইল। সমাজরক্ষক ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারগণ সঙ্করগণের মাতৃজাতিত্ব স্বীকার করিলেন বটে,.কিন্তু সেই সঙ্গে ইহাও ঘোষণা করিলেন যে, যাহার। সদাচার অবলম্বন করিয়া উৎকৃষ্ট জাতিতে কন্যাদান করিতে থাকিবে, তাহার। পাঁচ ছয় পুরুষ পরে ক্রমশঃ উৎকৃষ্ট জাতি বলিয়া গণ্য হইবে । এইরূপ কত হীনবর্ণ উচ্চ বর্ণে প্রবেশলাভ কুরিয়াছে, কত শূদ্রধৰ্ম্ম জাতি ক্রমশঃ বৈশ্ব, ক্ষত্রিয়, এমন কি ব্রাহ্মণবর্ণের সহিত সম্মিলিত হইয়া ব্রাহ্মণ ললিয়া পরিচিত হইয়াছে। যাজ্ঞবল্কোর মিতাক্ষরায় তাহার স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায় ২ এখনও বোধ হয়, সেই কারণে প্রত্যেক জাতির মধ্যেই উচ্চ কুলে কস্য সম্প্রদান আদরণীয় ও সম্মানিত হইয়া আসিতেছে । একদিকে যেমন উচ্চগতি এবং অপর দিকে সেইরূপ দেশ, কাল, পাত্র ও অবস্থাভেদে অধোগতি ঘটিতেছিল । তাহারুই ফলে বহুতর অনুলোম ও প্রতিলোম বৰ্ণসঙ্করের উৎপত্তি হইতে লাগিল । সমাজের প্রয়োজনানুসারে প্রত্যেক সঙ্করজাতির পৃথক পৃথক ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম নির্দিষ্ট হইল ; ধৰ্ম্মনির্দেশ অনুসারেই তাহারা স্ব স্ব শ্রেণীর লোক লইয়া এক একটী পৃথক সমাজের স্বঃি করিল ; ভিন্ন সমাজভূক্ত হইলে তাহার এক একটা বিভিন্ন জাতি বলিয়া গণ্য হইতে লাগিল । উপরে যে সকল কারণে ভারতীয় আৰ্য্যসমাজে নানা জাতির উৎপত্তি বিবৃত হইয়াছে, তাহ অতি প্রাচীন কালের কথা। কিন্তু খৃষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পর হইতে বৌদ্ধপ্রভাব বিস্তারের সহিত আৰ্য্যসমাজে যুগান্তর উপস্থিত হইয়াছিল। পূর্বে যে জাতির যে ধৰ্ম্ম নির্দিষ্ট ছিল, তাহার আমূল পরিবর্তন ঘটিতে লাগিল । , তাহার উপর অনেক অনার্য্যজাতি এবং ভারতসীমাবহিভূত নানা শ্রেণীর আর্য্য ( ইরাণ ) ও তুরান জাতি আসিয়াও ভারতীয় আর্য্যসমাজে মিশিয়া পড়িল । সাধারণের অবগতির জন্য এখানে কয়েকট প্রমাণ দিতেছি— . (১) “জাতুংকর্ষে যুগে জ্ঞেয়: সপ্তমে পঞ্চমেইপি বা ।

  • ব্যত্যয়ে কৰ্ম্মণাং সাম্যং পূৰ্ব্বস্বচtধরোত্তরম্ " (ধাজ্ঞবল্ক্য ১৯ } (२) ** श्रृं$tग्न झष्टवा ?