দেবতা মানি না? আমরাও প্রতিবর্ষেই তাজিয়া করিয়া থাকি”। একজন বাঙ্গালী কহিল—“আমাদিগের দেশে সকল কর্ম্মেই সত্যপীরকে সিন্নি দেওয়া হইয়া থাকে, যিনি সত্যপীর তিনিই সত্য নারায়ণ।” আর একজন মুসলমান বলিল, “তোমরাই যে আমাদের দেবতা মান, আমরা তোমাদের দেবতা মানি না, একথা বলিতে পারিবেনা। কোন্ মুসলমান হিন্দু দেবতার এবং ব্রাহ্মণ ঠাকুরদের যথোচিত সম্মাননা না করে? আমার জানত অনেক মুসলমান ব্রাহ্মণদিগকে খরচ পত্র দিয়া দুর্গোৎসব করান। দরাপ খাঁ “সুরধুণি মুনি কন্যে” বলিয়া কেমন ভক্তি সহকারে গঙ্গাদেবীর স্তব করিয়া গিয়াছেন, তাহা কাহার অজানত আছে?” নগরময় এইরূপ কথোপকথন, কোথাও হাস্য পরিহাস, কোথাও গান বাজনা, কোথাও প্রীতিভোজের সমারোহ।
জুমা মস্জিদের মধ্যে ভারতবর্ষের যাবতীয় প্রধান প্রধান ব্যক্তি একত্র সমাগত। উত্তর দিকে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিবর বালাজী বাজীরাও পেশোয়া, তাঁহার দক্ষিণে কিঞ্চিৎদূরে মলহর রাও হুলকার, তাঁহার দক্ষিণে মাদাজী সিন্ধিয়া, তাঁহার দক্ষিণে দম্মাজি গুইকবার, তৎপার্শ্বে জানোজী ভোঁসলা, তাঁহার পার্শ্বভাগে সদাশিব রাও। পেশোয়ার বামপার্শ্বে কিঞ্চিৎদূরে সলাবত জঙ্গ, তৎপার্শ্বে সুজাউদ্দৌলা তাঁহার পার্শ্বে নজিব উদ্দৌলা, তাঁহার পার্শ্বে সুর্য্য-