পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ 参おい● ( ১৫ ডিসেম্বর ১৮২৭ । ১ পৌষ ১২৩৪ ) এতদ্ধেশীয় ডাকাইতি —গত দশ দিবসের মধ্যে কলিকাতার ইংগ্রওঁীয় সমাচার পত্রের মধ্যে কোম্পানির রাজশাসনের বিষয়ে অনেক বাদানুবাদ হইয়াছে’- কিন্তু তাহার মধ্যে ডাকাইতি নিবৃত্তির বিষয়ে যে সমাচার প্রচার হইয়াছে তাহা আমরা প্রকাশ করিতেছি । ১৮০৩ সালেতে কৃষ্ণনগর জিলায় ১৬২ স্থানে ডাকাইতি হয় পরে ১৮০৪ সালে ১৩০ এবং ১৮০৫ সালে ১৬২ ও ১৮০৬ সালে ২৭৩ এবং ১৮০৭ সালে ১৫৪ এবং ১৮০৮ সালে ৩২৯ তারপর ১৮২৫ সালে কেবল ২১ স্থানে ডাকাইতি হয় ইহাতে দেখা যায়] যে পূৰ্ব্বাপেক্ষ ডাকাইতির কত অল্পত হইয়াছে। ২০ এপ্রিল ১৮২২ - ৯ বৈশাখ ১২২৯ ) স্বপ্রীমকোর্ট –জিলা কোমিল্লার জজ শ্ৰীযুত জন হেজ সাহেবের উপরে এক খুনী মোকদ্দমা হইয়াছিল। ৮ এপ্রিল সোমবারে স্থপ্রীমকোর্টে তাহার আদালত হইল। তাহাতে ফৈরণদীর সাক্ষিরা এইরূপ কহিল যে ত্রিপুরার এক জমীদার প্রতাপনারায়ণ দাসকে মোকাম কোমিল্লাতে থাকিবার কারণ জজ সাহেব আজ্ঞা দিয়াছিলেন এবং সাহেব কৰ্ম্ম ক্রমে গত জুলাই মাসে স্থানান্তরে গিয়াছিলেন এই অবকাশে ঐ জমীদার আপন পুত্রের অমুস্থতা সম্বাদ শ্রবণ করিয়৷ বাট গিয়াছিল। এবং সে পুত্ৰ মরিল তথাপি জজ সাহেবের কোমিল্লাতে পহুছিবার দুই দিন অগ্রে ঐ জমীদার কোমিল্লাতে পন্থছিল। পরে সাহেব শুনিলেন যে ঐ জমীদার আজ্ঞালঙ্ঘন করিয়া বাটী গিয়াছিল ইহাতে জমীদারকে ধরিয়া আপন নিকটে আনিতে অfজ্ঞা করিলেন তাহাতে যে পেয়াদারা অানিতে গিয়াছিল তাহারা জমীদারকে হাটাইয়া আনিতে স্থির করিল কিন্তু জমীদার ঐ পেয়াদারদিগকে কিঞ্চিৎ ঘুম দিয়া সোরারিতে উঠিয়া কতক দূর আসিয়া নিকটহইতে হাটিয়া সাহেবের নিকটে আইল । সাহেব কোন তজবীজ না করিয়া আগতমাত্র হারামজাদা গালি দিয়া ২০ বেত মারিতে আজ্ঞা করিলেন তাহাতে জমীদার কহিল ষে আমি এমত দুষ্কৰ্ম্ম করি নাই যে আমার অসন্ত্রম করেন যদি করেন তবে আমি বঁচিব না বরং জরিপানা যে করিতে চাহেন তাহ দিতে মজুত আছি । সাহেব তাহ না শুনিয় তাহাকে দশ বেত মারিলেন তাহাতে সে জমীদার মূৰ্ছাপন্ন হইয়া ভূমিতে পড়িল পুনৰ্ব্বার উঠাইয়। আর দশ বেত মারিলেন পরে দুই জন চাপরাসী তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া কারাগারের মধ্যে লইল এবং তাহার নিকটে তাহার চাকর কিম্ব বন্ধু লোককে যাইতে দিলেন না তৎপ্রযুক্ত সে মারির চিকিৎসাও হইল না আহারাদিও পাইল না তৃতীয় দিবসে তাহার মৃত্যু হইল। পরে তাহার জ্ঞাতি কুটুম্বের তাহার উত্তর ক্রিয় করিবার নিমিত্ত মৃত শরীর লইতে চেষ্টা করিল তাহাতে সে সাহেব বারণ করিয়া বন্দুয়ান লোকের দ্বারা তাহার সৎকার করাইলেন। এই রূপ এক পক্ষীয় সাক্ষির প্রমাণ দিয়াছিল। পরে আসামীর সাক্ষির শপথপূৰ্ব্বক পূৰ্ব্ব সাক্ষিরদেম কথার বিপরীত সাক্ষ্য দিল যে প্রতাপনারায়ণ মফস্সলে কোম্পানির સ્વ: