পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি $కితీ গদাধর হাসিয়া বলিলেন—তাই তো বললে ! —আচ্ছা, তোমার সব-তাতে হাসি আমার ভালো লাগে না ! তুমি যেমন কিছু জানো না, বোঝে না—সবাই তো তোমার মত নয় ! কি-কি বললে সাধুবাব শুনি ? —ওই তো বললাম। —সত্যি, এই কথা বলেচে ? —ইr, ভড়মশায় জানে, জিজ্ঞেস কোরো । —ওমা, শুনে যে হাত-পা আসচে না ! —ই্যাঃ—তুমি রেখে দাও। ভণ্ড সাধু সব কোথাকার, ওদের আবার কথার ঠিক ! অনঙ্গ বীঝের সহিত বলিল-ওই তো তোমার দোষ। কাকে কি চটিয়েচো, কি ব’লে গিয়েচে । ওরা সব করতে পারে, তা জানো ? ওদের নামে অমন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে আছে ? ওই দোষেই তোমার ভুগতে হবে, দেখচি ৷ সাধুকে কিছু দাওনি ? গদাধর হাসিয়া উঠিয়া হাতে চাদি-বসানো এবং সাধুর টাকা তুলিয়া লওয়ার বর্ণনা করলেন । অনঙ্গ বলিল—হেসে না। যাকৃ, তবুও কিছু দক্ষিণা-প্রণামী পেয়ে গিয়েচেন তো তিনি ! আমার এখানে আগে এসেছিলেন—তখন যদি জানতাম, আমি ভাল ক’রে সেবা ভোগ মিতাম—মনটা খুশী ক'রে দিতাম বাবার-ওঁর সব পারেন। বলিয়। অনঙ্গ হাত জোড় করিয়া কড়িকাঠের দিকে চোখ তুলিয়া চাহিয়া উদ্দেশে প্রণাম করিল। গদাধরের দোষ এই, স্ত্রীর কাছে গম্ভীর হইয়া থাকিতে পারে না । অনঙ্গর কাগু দেখিয়া হাসি চাপিয়া রাখা গদাধরের পক্ষে দুঃসাধ্য হইয়া দাড়াইল । প্রথমটা হাসি চাপিতে গিয়া শেষকালে ফল ভালো হইল না—ঘরের মধ্যে মনে হইল যেন একটা হাসির বোমা বুঝি-ব৷ ফাটিয়া পড়িল । অনঙ্গ রাগে ফরফর করিতে-করিতে ঘরের বাহির হইয়া গেল । গদাধরের তখন আর-এক পেয়াল হইলে মন্স হইত নী—কিন্তু ধীকে চটাইয়াছেন, সেআশা বৰ্ত্তমানে নিন্মুল। . তিনি ডাকিলেন—গৈবি••• গৈবি বাহির-বাড়ী হইতে উত্তর দিল—যাই বাবু। - ওরে, শেfন এদিকে, একটু তামাক দে—আর একবার দেখে আয়, কলকাতা থেকে নিৰ্ম্মলবাবু এলেচে কিনা"মুখুয্যেবাড়ীর । — এখনি যাবো, বাবু? – তামাক দিয়ে তারপর গিয়ে দেখে আয়। যদি আসে তো ডেকে নিয়ে আক্ষবি ! এই সময় অনঙ্গ আবার ঘরে ঢুকিয়া বলিল কেন, নিৰ্ম্মলবাবুকে ডাকচো কেন, শুনি ? -সে খোজে তোমার দরকার কি ? .