পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পীপ বা পাপঞ্জিী [ 8११ ] পীপা বা পীপাঞ্জী - - আম পীমসের লক্ষণ-মস্তকের গুরুত, অরুচি, নাসিক হইতে স্রাব, স্বরভঙ্গ এবং বারংবার নিষ্টবন হইলে তাহাকে ভূপক পীনস কহে । পঙ্কণীনসের লক্ষণ-পূৰ্ব্বোক্স আমণীনসের লক্ষণাস্থিত শ্লেষ্মা গাঢ় হইয়া নাসারন্ধে, সংলগ্ন এবং স্বয় প্রসন্ন ও শ্লেষ্মার বর্ণ বিশুদ্ধ হইলে পঙ্কপীনস স্থির করিতে হইবে । ( ভাৰপ্র” ) গরুড়পুরাণে লিখিত আছে-- “পিপ্পলী ত্রিফল চুৰ্ণং মধুসৈন্ধবসংযুতম্। সৰ্ব্বরোগজরশ্বাস-শোষপীনসহৃদূ-ভবেৎ ॥” ( গরুড়পু ১৮৯) পিপ্পলী ও ত্রিফলাটুর্ণ, মধু এবং সৈন্ধবের সহিত প্রয়োগ করিলে পীনসরোগ প্রশমিত হয় । চরক চিকিৎলিত স্থান ২৬ অধ্যায়ে এবং উত্তয়তন্ত্রে ২৪ অধ্যায়ে এই পীনস রোগের চিকিৎসাদির বিশেষ বিবরণ লিখিত অাছে । [ নাসারোগ দেখ । ] পীরসা ( স্ত্রী) পীনস-টাপ কৰ্কট, কাকুড় । ( রাজনি" ) পীনসিন (ত্রি) দীনস অস্তার্থে ইন্‌। লীনগরোগী। “বহুদ্রবৈবাতকফোপস্থইং প্রচ্ছদয়েৎ পীনসিনং বয়ঃস্থম।” - ( সুশ্রত উত্তরতন্ত্র ২৪ অঃ ) পীনোত্নী (স্ত্রী) লীনং স্থলযুধে বস্তাঃ (বহুব্রহেরূধসো ভীষ । প। ৪।১।২৫ ) ইতি উষ, ( উধসোহনঙ, । পা ৫।৪।১৩১ ) ইতি উধেtহস্তাস্ত বহুত্ৰীহেরনঙাদেশঃ । পীবরস্তনী গাভি, যে গাভির পালান অতি স্থল । লপার । পুং) অপি পিপৰ্ত্তীতি পৃ-ইন, অপেরল্লোপঃ দীর্ঘশ্চ। হ্রস্বপ্লক্ষ, চলিত ছোটপাকুড় । ( রাজনি” ) পাপ বা পীপান্তী, গাঙ্গরোলের জনৈক হিন্দু রাজা। প্রথমে | পাপী একজন মহাশক্তি ছিলেন । একদা এক বৈষ্ণব সাধু রাজপুরে আসিয়া অতিথি হইলে রাজা অবহেলা করিয়া তাহাকে সামান্ত খাদ্য দ্রব্য ভোজন করিতে দিলেন । সাধু পাক করিয়া থtষ্টলেম বটে, কিন্তু তাঙ্গর পরিতৃপ্তি হষ্টল না। রাজাকে কৃষ্ণভক্তিহীন জ্ঞানে এবং বৈষ্ণবসেবায় তাঙ্কণর অনুরাগ নাই দেখিয়া মনে মনে ক্ষুব্ধ হইলেন । সাধু, রাজাকে দেবীর কৃপাপাত্র জানিয়া দেবীর স্তুতি করিতে লাগিলেন এবং প্রার্থনা করিলেন, তাহার বরে যেন রাজার মতি গতি ফিরিয়া কৃষ্ণ ও কালী এই ভেদজ্ঞান দূরীভূত হয়, তাহা হইলে মানবজন্ম, ধন, রাজ্য সকলই সফল হুইৰে, অস্তথা সকলই বৃথা। ভক্তির ভগবান। প্রার্থনামাত্রই ভগবতীর অন্তরে বাজিয়া উঠিল ; দেবী ডাকিনী, যোগিনী ও শঙ্খিনী সঙ্গে লইয়া রাজার বক্ষস্থলে চাপিয়া বসিলেন এবং ক্রোধপূর্বক বলিতে লাগিলেন, রে মূঢ় তুই আত্মাভিমানে কৃষ্ণতক সাধুর অবমাননা XI ১২০ করিলি, কল্য গ্রাতে গাত্ৰোখান করিয়া পাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ বৈষ্ণবচরণে প্ৰণিপাত করিধি এবং জাপন অপরাধ জ্ঞাপন করিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিবি, তাহ না হইলে বিশেষ প্রমাদ ঘটবে। স্বপ্নাদিষ্ট রাজা প্রাতে উঠিয়াই বৈষ্ণবচরণে প্রণামপুৰ্ব্বক ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন এবং তাছাকে দেবীর আগমন, কৃষ্ণপুঞ্জ ও বৈষ্ণবসেবার ཧྰུཾ་ཏྲྰཾ་ཧྰུཾ་ཧྰུཾ་ জানাইলেন । তদনুসারে দেবীর অনুগ্ৰহে কৃষ্ণভক্তি লাভ করিয়া রাজার দিরা চক্ষু খুলিল। তিনি রাজ্য সম্পদ অনর্থ জ্ঞানে সংসারাশ্রম ত্যাগ করিতে মনস্থ করিলেন, কিন্তু তাহার আরাধ্য মহামায়াকে জানাইয়া গৃহত্যাগ করা যুক্তিযুক্ত মনে করিলেন এবং র্যাহার কৃপায় তিনি এই সারধন উপভোগ করিতে পারেন, এরূপ গুরু কোথায় পাইবেন, তাহার প্রার্থনা করিলেন। দেবী রাজাকে কাশীধামে রামাননোয় শিষ্যত্ব গ্রহণ করিতে উপদেশ দিলেন । রাজা রামানন্দের নিকট দীক্ষা লইলেন। গুরুর কৃপায় তাহার পরমপদ লাভ হইল। অনস্তর রাজা গুরুর জাদেশানুসারে গৃহে ফিরিয়া আসিয়া হরির সেবায় অনুরক্ত হইলেন। অন্তঃপুরচারিণী রমণীদিগের পারত্রিক মঙ্গলবিধানহেতু তিনি রামাননাকে কাশীধাম হইতে আনাইলেন । গুরু আসিয়া রাণীগণকে দীক্ষণ দিলেন । সাত রাণীই বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া রাজার সমভিব্যাছারে গমন করিতে ইচ্ছুক হইলে, রাজা সকলকেই নগ্নবেশে তাছার অনুসরণ করিতে কহিলেন । সৰ্ব্বাগ্রে সীতা নামী কনিষ্ঠ রাণী অলঙ্কার ও জরির কাপড় ফেলিয়া কৃষ্ণবিরছে উন্মত্ত হইয়। রাজার অতুগামিনী হইলেন। প্রথমে উভয়ে দ্বারকায় আদিলেন । কৃষ্ণ অদর্শনে ক্ষিপ্তপ্রায় রাজা চতুর্দিকের লোককে জিজ্ঞাসা করিলেন, কৃষ্ণ কোথায় ? তাহারা উত্তর দিল, কৃষ্ণলীলার সপ্তরাত্রি পরে দ্বারাবতী কৃষ্ণ সহ সাগরগর্ভে লীন হইয়াছেন। শুনিবণমাত্রই রাজা ও রাণী জলে ঝাপ দিলেন । নারায়ণ যুগলৰূপে দেখা দিলেন । অতঃপর কৃষ্ণেরু আজ্ঞাতে তাহার পুনরায় দ্বারকাকুলে উঠিলেন । রাজা দ্বারকাপুরী প্রকাশকরণার্থ রণছোড়জী ও চীকর্মজী নামে হুইট বিগ্ৰহ মূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া তীর্থপর্যটনে বাহির হইলেন। ভ্রমণকালে বনমধ্যে এক ব্যাস্ত্র ধরিতে আসিল, রাজ। তাহার কর্ণে কৃষ্ণমন্ত্র দান করিলে বাঘ পলাইয়া গেল। বৃনীtবনধামে শেষশাস্ত্রী গৃহে শ্ৰীধর নামক এক দরিদ্র বৈঞ্চবব্রাহ্মণের গৃহে সন্ত্রীক অতিথি হইলেন। তখন ব্রাহ্মণগুহে খাদ্যাদি ছিল না। ব্রাহ্মণী পরিধেয় বস্ত্র বিক্রয় করিয়া অতিথি সৎকার করাইলেন এবং নিজে উলঙ্গ রহিলেন। আহারের সময় চারিজনে একত্র ভোজন করিবার জন্ত পীপ অনুরোধ