পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ নরেন্দ্র কর্তৃক গ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের প্রচার কার্য্য আজ আমরা একটু আলোচনা করিব, পরমহংসদেবের সেই বিশ্বজনীন সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম স্বামীজী কিরূপ প্রচার করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। ১ । ঈশ্বর-দর্শন (REALISATION OF GOD ) ত্রীরামকৃষ্ণের প্রথম কথা—ঈশ্বরকে দর্শন করিতে হইবে। কতকগুলি মত মুখস্থ বা শ্লোক মুখস্থ করার নাম ধৰ্ম্ম নহে। এই ঈশ্বরদর্শন হয়, যদি ভক্ত ব্যাকুল হইয়া তাহাকে ডাকে, এই জন্মেই হউক অথবা জন্মান্তরেই হউক। একদিনের তাহার কথাবার্তা আমাদের মনে পড়ে। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ীতে কথা হইতেছিল । পরমহংসদেব কাশীপুরের yমহিমচরণ চক্রবর্তীকে বলিতে ছিলেন— ( রবিবার, ২৬শে অক্টোবর, ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দ ) । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমাচরণ ও অন্তান্ত ভক্তদের প্রতি )–শাস্ত্র কত পড়বে ? শুধু বিচার করলে কি হবে ? আগে তাকে লাভ করবার চেষ্টা কর। বই পড়ে কি জানবে ? যতক্ষণ না হাটে পৌছান যায়, ততক্ষণ দূর হতে কেবল হো হো শব্দ। হাটে পৌছিলে আর এক রকম, তখন স্পষ্ট স্পষ্ট দেখতে পাবে, শুনতে পাবে, আলু লও’ পয়সা দাও”। “বই পড়ে ঠিক অনুভব হয় না। অনেক তফাৎ । তাহাকে দর্শনের পর শাস্ত্র, Science সব খড় কুটো বোধ হয় ।” “বড় বাবুর সঙ্গে আলাপ দরকার। তার ক’খানা বাড়ী, কটা বাগান, কত কোম্পানীর কাগজ, এ সব আগে জানবার জন্ত অত ব্যস্ত কেন ? কিন্তু যো-সো করে বড় বাবুর সঙ্গে একবার আলাপ কর, তা ধাক্কা খেয়েই হউক আর বেড়া ডিঙ্গিয়েই হউক, তখন ইচ্ছা হয় ত তিনিই ব’লে দিবেন, তার