বঙ্কিম-প্রসঙ্গ \ף 4ס রূপে আমাদের নয়নে প্রতিভাত হও । হে সৌম্য, হে অসেচনক, তোমার এই বিবিধরুপেই তবে তোমাকে নমস্কার করি— 瓣 ওঁ বসন্তায় নমস্তুভ্যং গ্রীষ্মায় চ নমোনমঃ । বর্ষাভ্যশ্চ শরৎসংজ্ঞ ঋতবে চ নমঃ সদা ॥ হেমন্তায় নমস্তুভ্যং নমস্তে শিশিরায় চ | মাসসম্ববৎসরেভ্যশ্চ দিবসেভ্যো নমোনমঃ ॥ তুমি আমাদের অতি প্রিয় ছিলে, আমরা তোমার অতি প্রিয় ছিলাম। কিন্তু তোমার সহিত আমাদের আর সাক্ষাৎ কার হইবে না । তুমি বঙ্গভূমির অতি প্রিয় সন্তান ছিলে, বঙ্গভূমি তোমাৰ অতি প্রিয় ছিল—কিন্তু তোমার সে সুজলা সুফলা শস্ত শু্যামল৷ জন্মভূমি জননীকে বন্দনা করিতে এ বঙ্গে তুমি আর আসিবে না। তুমি বঙ্গভাষার প্রাণ ছিলে, বঙ্গভাষী তোমার প্রাণের বস্তু ছিল, —কিন্তু সে বঙ্গভাষাকে মহিমময় করিতে এ বঙ্গে তুমি আর আসিবে না। তুমি যে “বন্দে মাতরম" মন্ত্রে নির্জীব বঙ্গজাতিকে সঞ্জীবিত করিয়াছ, তোমার সেই মহামন্ত্র গান করিয়া আজ আমরা সপ্তকোটি কণ্ঠে আকুল হৃদয়ে তোমাকে ডাকিতেছি – কিন্তু তুমি আমাদের আর দেখা দিবে না। তুমি এখন যে দেশে আছ সে মধুময় দেশ। তোমার সে মধুর মূৰ্ত্তি আমাদের হৃদয়ে আজও বিরাজিত রহিয়াছে। তোমার বদনমণ্ডল মধুর ছিল— তোমার হাস্য অতি মধুর ছিল ; মধুময় ছিল তোমার রসনা— অনন্ত মধুময় তোমার রচনা। হে বঙ্গমধুকর বঙ্কিমচন্দ্ৰ !