৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । হইয় তাহার দিকে চাহিয়া থাকিয়া অবশেষে মুঢ়ম্বরে জিজ্ঞাসা করিল "আপনি কাকে ডেকে দিতে বলচেন ?” বিস্মি ত হইয়া রজনী নাথ ফিরিয়া দাড়াইলেন, কহিলেন “শাস্তিকে শাস্তিকে ” “এখানে শাস্তি কোথায় ? তারা তে। কদিন হলো আপনার কাছেই গ্যাছে”— রজনীনাথের বুকের আঘাত পড়িল,—“সে কি ! আমি যে তাদের সেই রাত্রেই এখানে ফিরিয়ে পাঠিয়েছি, হেম এখানে আসেনি ?” রজনীনাথের বিলম্ব দেখিয়া ও নিজের মনের দুৰ্ব্বলতায় তাহার প্রতি সমুচিত সমাদর না দেখাইতে পারায় অমৃতপ্ত হইয়া শু্যামাকান্ত র্তাহার অনুসন্ধানে আজ কয়েকদিন পরে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতেছিলেন, দ্বারে রজনীনাথের কথা কয়েকটা তাহার কর্ণে প্রবেশ করিল, কম্পিতশ্বাসে বলিয়া উঠিলেন "হরি হরি এমন কাজ ও করে ! সে পায় গু সকল আক্রোশ আমার মার ওপোরেই মেটাবার জন্তে তাকে এখানে আনেনি ৷” বৃদ্ধ হতাশ্বাসে কপাট ধরিয়া হাপাইতে লাগিলেন । বাসার কাছে আসিয়া পক্ষীমাত তাহার ছোট শাবকটিকে অপহৃত দেখিলে এই রকমই অহপায় ক্ষোভে বুঝি লুটাইয় পড়ে । শ্বশুরের আগমনে শিবানী আত্মসম্বরণ করিয়া লইয়াছিল, মাথার কাপড়টা যথাস্থানে স্থাপন করিয়া রুক্ষ চুলগুলাকে অবহেলার সহিত ভিতরে একটা হস্ত তাড়নায় বিতাড়িত করিয়া অকম্পিত পদে উঠিয়া দাড়াইল । অমুল্য ব্যাপার কি না বুঝিয়াও ব্যাপার কিছু কঠিন ইহা বুঝিতে পারিয়া ম।তার কাপড়ের একটা প্রান্ত শক্ত পোষ্ণুপুত্র। Հե Տ করিয়া ধরিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া সকলকার মুখের দিকে এক একবার করিয়া চাহিয়! দেখিতে লাগিল । তাহার প্রতিও সকলকার একটা অবহেলার ভাব তাহার বড় ভাল লাগিতেছিল না । তাহার পর সকলকার মুখেই যেন একটা আসন্ন প্রায় ঝড়ের চিকু--- অভিমানে তাহার রাঙ্গ ঠোঁট ফুলিয়া উঠিতে লাগিল । রজনীনাথ শিশুর দিকে চাহিয়া দেখিয়াই ভtহার নিকটে আসিয়া তাহার মাথায় হাত রাখিয়া আদর করিয়া বলিলেন, “এসতে দাদা আমরা বাইরে যাই ঘরে বড় গরম হচে ।” বলিয়াই তাহার সন্মতির অপেক্ষ না করিয়াই তাঙ্গাকে কোলে তুলিয়া লইয়৷ তাগ্রসর হইতে হইতে শু্যা মাকণ স্তর দিকে না ফিরিয়াই কহিলেন “আমুন চৌধুরী মশায় ভাস্কটকে নিয়ে একটু খেল করা যাক ৷” শি৭ানী ও গু মাকান্ত অনেকখালি বিস্ময়ের সহিত তাহার দিকে চাহিয়া দেখিলেন । সকলে চলিয়া গেলে ঝড়ের মতন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া সিদ্ধেশ্বরী সক্রোধকণ্ঠে কন্তকে বলিয়া উঠিলেন “হ্যালো শিবি তোর জালায় কি আমি গলায় দড়ি দেবে নাকি লো ? বলি এই কি তোর বুদ্ধি মুদ্ধি হচ্চে ? এতদিন ধরে যে এত শিখায় পড়ামু তার কি এই প্রিতিফল দিলি ?” শিবানী মাটি হইতে চোখ তুলিয় দৃঢ় স্বরে জিজ্ঞাসা করিল “কি করেছি ?” “কি করিমনি তাই বল । ও মিন্সেকে অত অপ্যায়িত করে তোর কি লাভ বল দেখি ? শত্তর গেছে সাতটা সরষে দে গঙ্গাছান করে আয়ুগে– তা না মেয়ের সপ্তসিন্ধু উথলে উঠলো ! দেখ, ওসব অসইরণ দেখতে পারিনে ! এখন ছেলে যে ডাইনের হাতে
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪০৮
অবয়ব