উদাসীন পথিকের মনের কথা ף לצ বাতাস খাইতে বড়ই ভালবাসি। হরনাথের গা দিয়া ঘাম ছুটিল। কেনী একটি কথায় রাগিয়া দাড়াইলেন । হরনাথ রক্ষা পাইল । কেনী বলিতে লাগিলেন—“আমি ভয় করি না—আমি তোমার বাঙ্গালীর সকল ভেদ বুঝিয়াছি। বাঙ্গালার—সাহস, বল, বিক্রম সকলি জানিয়াছি। বাবুকে একবার দেখা চাই। তোমরা আমাকে এইমাত্র খবর দিবে যে, অমুক তারিখে ভৈরববাবুর জমিদারীর সদর খাজনা অমুক পথে যশোহর রওয়ান হইল। আর আমি কিছুই চাই না। এই খবরটি চাই মাত্র ।” * হরনাথ যে আজ্ঞ, যে হুকুম হুজুরের, আবার সেলাম বাজাইয়া বাগামের বাহির হইলেন। সাহেবও শ্যনকক্ষে ঢুকিলেন । পঞ্চদশ তরঙ্গ পাঠক বিরক্ত হইবেন না। একটু ধৈর্য্য ধরিয়া পথিকের মনের কথা শুনিয়া যাইবেন। এ কথার বান্ধুনী, মিল-গরমিলের দিকে আদৌ লক্ষ্যই নাই। মনের কথা, তায় আবার কানে শোনা । সে শোনাও সেই ছোটবেলায় । অসংলগ্ন, ভুল ভ্রাস্তি হওযাই সম্ভব। যেখানে সন্দেহ, যেখানে গরমিল বোধ করেন, দয়া করিয়া নিজ গুণে সংশোধন ও সংলগ্ন করিয়া লইবেন । মনে হয় ?—পোবাপাখির কথা মনে হয? জকি গাডওয়ানের পোষাপাখি। বুলি ধরিয়াছে, বেশ কথা কয় —মনে হয় ? কেনী যে কথাটা শেষে বলিয়াছিলেন মনে আছে ? “উচিৎ মূল্য দিয়া আনিবে, সকের জিনিস জবরানে লইব না।” 的 পাখিটাব কি হইল ? জকি সম্মত হইয়া দিল—কি জবরানে আনা হইল, সে কথা এ পর্যন্ত মুখে আনি নাই। কিছু আভাষ প্রথম তরঙ্গে দিয়াছি। মার্জন করিবেন, সময় পাই নাই । ভাকে খবর আসিল—মিসেস কেনী নির্বিঘ্নে কলিকাতায় পৌছিয়া জাহাজে উঠিয়াছেন। কেনী একদিকে নিশ্চিন্ত হইলেন। মেমসাহেব ফিরিয়া আসিতে জাসিতে এদিকে প্যারীমুনারী টিকিবেন কি না ? তাহাতেই সন্দেহ ! ইহাতে কার বালা কে পরায় ? অার কার শাড়ীকে পরে ? টি. আই. কেনী নিয়মিতরূপে বিষয়াদির কার্য করেন, এবং প্রায় সকল সময়েই কুঠিতে থাকেন। ডিহি দেখিতে আর-কুঠির বাহির হন না। আফিসদালানে বসিয়া মামলা-মোকদ্দমার পরামর্শ করিতে করিতে, বিষয়াদির কাধ্যে