२b-8 .মীব মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বাহির হইয়াছিলেন, কিন্তু বড়ই গোলযোগ—কিছুই করিতে পারিলেন না। কুঠিতে যাইয়া সাহেবকে অবস্থা জানাইতেও সাহসী হইলেন না। কারণ কুঠির দেওয়ান, আমীন, খালাসী, সর্দার, লাঠিয়াল, সকল দেশেরলোক, বাড়ি, ঘর, জমি কারবার সকলি দেশে। আত্মীস্বজন, কুটুম্ব, সকলি ঐ অঞ্চলে । পুত্র লাঠিয়ালের চাকর, পিতা প্রজাব পক্ষে ; কনিষ্ঠ কেনৗব বেতনভোগী, জ্যেষ্ঠ প্রজার দলে । ইহার পর প্রজার মৌখিক ঘোষণা—এই ষে, “বে নীলকরের চাকুরী করিবে, যে ব্যক্তি নীলকরেব সাহয্য করবে তাঙ্গব ভালfই নাই ।” স্বার্থেব লোভে, অর্থলাভে যিনি প্রজাব বিপক্ষে হস্ত প্রসাবন করিলেন, দুই একপদ অগ্রসর হইতে না হঠতে অমনি সোজা হন্তয়! প্রজার দলে মিশিলেন । সাধা নাই যে নীলকবেব পক্ষ অবলম্বন কবিয মানমর্যাদা বজায় রাখিয়া দেশে বাস করেন । যিনি কুঠি হইতে বাহির হইলেন, তাহাব আল প্রবেশেব সাধ্য থাকিল ন। । সপ্তাহ মধ্যে সর্দাব. নেগাহবান, আমীন, পালাসী গোমস্থা, প্রভৃতি কুঠি পবিত্যাগ করিল। নীলকবের সংশ্রব ত্যাগ করিল। দেবে, চোবে, সিং ব্যতীত বাঙ্গালী একটি প্রাণীও প্রকাশুভাবে নীলকবেব চাকুবী কলা দূরে থাকুক—লাধ্য হইয়া বিপক্ষে দাডাইতে হইল। দে যান, মৃচ্ছদি বড় বড় আমলা মহাশয়েব কিছুদিন নিমকের সত্বরক্ষা কবিতে অনেক চেষ্টা কবিলেন, পারিলেন না । বান্ডিব সংবাদ বডই শোচনীয। দিনেদুপুবে অত্যাচাব, লুটপাট, পবিজনেব তুর্দশাব একশেষ, কারসাধ্য নীলকবের চাকুরী কবে ? ক্রমে কুঠিতে লোকশূন্ত হষ্টয উঠিল । খানসামা বাবুর্চি পর্যন্ত কাৰ্য্য ছাডিয়া চলিস গেল । কষ্টেব একশেষ। পক্ষকাল অতীত হইতে না হইতে কেনীর সমুদয জমিদাবিতে, অন্যান্য কুঠিযালের জমিদারিতে প্রজাবিদ্রোহের আগুন সতেজে জলিষা উঠিল । বডই গোলযোগ বাধিল । কেনী তো ছাডিবাব পাত্র নহেন—সহজে দমিবার লোক নহেন । তিনিও পুরাদমে বুদ্ধিবল, অর্থবল, প্রয়োগ করিতে লাগিলেন । হিন্দুস্তানী চাকরেব সংখ্যা বিশগুণ বৃদ্ধি করিলেন। কলিকাতা হইতে খানসাম। খিদমতগার, বাবুচি আনাইয়া নুতনভাবে সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন । কিন্তু দোকানী, পসাবী একজোট, কুঠিরলোকের নিকট কেহ কোন জিনিস বিক্রি করিবে না। হাটেঘাটে, বাজারে কুঠিরলোক পাইলে বিধ্বস্ত কবিয়া ছাডিয়া দিতে আরম্ভ করিল। ক্রমে অশাস্তির বাতাস ৰহিয়া দেশে হুলুস্তুল ব্যাপার পড়িয়া গেল। একট্রি মুরগীর জন্য কেনী