গো-জীবন Vort শুরুতে গোজাতি ভিন্ন আরও অনেক রকমের গ্রাম্য জন্তু আছে (যাহা কোন সম্প্রA , ), দাঙ্গর আহার্য্য নহে ) তাহার সহিত গোপালের তুলনা করিলে কোন জাতির সখ্য ভগ্নক ইবে ? অনিবার্ষ্য গোবধ হওয়া সত্বেও ঘাটে, হাটে, মাঠে শত শত গোপালই দক্ষিত হইয়া থাকে, অন্য প্রকারেব দশ বারটি পশু বোধকরি লিখক মহাশয় একত্রে একস্তানে পান কিনা সন্দেহ । সদ্ব্যবহারের বস্তু কখনই নষ্ট হয় না, বরং উহাব উন্নতি এবং বৃদ্ধি হইয়া থাকে। গো দুগ্ধেই আমাদের শরীর পোষণ হইতেছে, গোজাতির পরিশ্রমের উপর এ দেশের কৃষিকাৰ্য্য নির্ভর, সেই গোজাতির উন্নতির এবং বৃদ্ধির জন্য ভারতবাসী মাত্রই সচেষ্টত । মুসলমানগণ শুধু মাংসার্থে গোজাতিকে সমাদব করিয়া থাকে না, তাহাবা বহুবিধ প্রয়োজনান্তরোধে গোজাতির সমাদর কবিয়া থাকে। আপনার বিচক্ষণ বুদ্ধিতে কেমন করিয়া প্রবেশ করে যে, মুসলমানগণ শুধুই গোজাতির শক্র । কোরাণে যে ভাবে ও যে চক্ষে গেজাতিকে লক্ষ করার বিধান আছে সে চক্ষে দেখিলে কবে গোজাতি নিৰ্ম্মল হইত। ভারতবাসীর অপর সম্প্রদায়গণ ঘরে ঘরে প্রতিপালন করিয়াও সে ক্ষতি পূরণ করিতে সমর্থ হইতেন না । “সুফি সাহেব কিছু মনে করিবেন ন! ।” সুফি সাহেব ! আমি কিছু মনে না করিয়া থাকিতে পারিলাম না । আমি মোল্লা মাতুষ, স্বভাবত বিবাদ প্রিয় নহি, কাজে কাজেই ক্ষান্ত না থাকিয়া উপায় কি ! একটি কথ। হঠাৎ মনে পড়িল, তাহাই জনসমাজে প্রকাশ পূর্বক প্রস্তাব উপসংহার ও মনের খেদ নিবারণ করি। প্রথম এদেশে যখন খৃষ্টিয় ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের হস্তগত হয় তখন তাহাদের আপন ধৰ্ম্মবিস্তার জন্ত পালে পালে মিশনারীগণ দেশদেশাস্তর বহির্গত হইয়া সুমিষ্ট বাক্য ও গম্ভীর স্বরে ধম্মের্ণপদেশ দিতে লাগিলেন। তাহাতে অনেক নিচাশয় পামরচেতা হিন্দু আপন ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক খৃষ্টিয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়৷ হেটকোট পরিধান করত সাহেব সাজিলেন । ইহাতেই কি সাহেব হওয়া যায় ?—না তাহার এখন এদিকে মিশিতে পারেন না ওদিক যাইতে পারেন । অল্পবন্ধের উপায়াস্তর না দেখিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্বাহার্থে পুনরায় মিশনারীদিগের নিকট আবেদন করায় তাহার রল্লিলেন যে, তোমরা আপন আপন ধৰ্ম্মে নিগুঢ়তত্ত্ব উদঘাটন পূৰ্ব্বক প্রচার করিতে থাক, সরকার হইতে তোমাদের জন্য বন্দোবস্ত কর বাইখেক। তদানুসারে তাহাব আদাজল খাইয় তাহাই করিতে লাগিলেন। এখন দেখা যাইতেছে যে, তাহাজের ধৰ্ম্ম বিনাশের প্রাণপণ চেষ্ট । সত্বেও হিন্দুধন্মের কিছুমাত্র অনিষ্ট ঘটে নাই, সেইরূপ আজকাল কোন কোন 等●