পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ করে পারলাম না যে, এ তে কেবল বাপের কাছে শেখ মুখস্থ বুলিই নয়। বা শিখেচে একেবারে নিঃসংশয়ে একান্ত করেই শিখেচে । কতটুকুই বা বয়স, কিন্তু নিজের মনটাকে যেন ও এই বয়েসেই সম্যক্ উপলব্ধি করে নিয়েচে । «ጥ একটু থামিয়া বলিলেন, সত্যিই তো । জীবনটা সত্যিই তো আর ছেলেখেলা নয়। ভগবানের এতবড় দান তো সেজন্য আসেনি। আর-একজন কেউ আরএকজনের জীবনে বিফল হ’লো বলে সেই শূন্ততারই চিরজীবন জয় ঘোষণা করতে হবে, এমন কথাই বা তাকে বলব কি বলে ? বেলা আস্তে আস্তে বলিল, সুন্দর কথাটী । হরেন্দ্র নিঃশব্দে উঠিয়া দাড়াইয়া কহিল, রাত অনেক হ’লো, বৃষ্টিও কমেচে– स्त्रiखं स्रांलि । অজিত উঠিয়া দাড়াইল, কিছুই বলিল না—উভয়ে নমস্কার করিয়া বাহির হইয় গেল । বেলা গুইতে গেল। ছোট-খাটো দুই-একটা কাজ নীলিমার তখনও বাকি ছিল, কিন্তু আজ সে-সকল তেমনই অসম্পূর্ণ পড়িয়া রহিল—অন্যমনস্কের মত সেও নীরবে প্রস্থান করিল। ভূত্যের অপেক্ষায় আগুবাবু চোখের উপর হাত চাপা দিয়া পড়িয়া রহিলেন । প্রকাও অট্টালিকা। বেলা ও নীলিমার শয়নকক্ষ পরস্পরের ঠিক বিপরীত মুখে। ঘরে আলো জলিতেছিল— এত কথা ও আলোচনার সমস্তটাই যেন নির্জন নিঃসঙ্গ গৃহের মাঝে আসিয়া তাহদের কাছে ঝাপা হইয়া গেল ; অথচ পরমাশ্চৰ্য্য এই যে, কাপড় ছাড়িবার পূৰ্ব্বে দর্পণের সম্মুখে দাড়াইয়া এই দুটি নারীর একই সময়ে ঠিক একটি কথাই কেবল মনে পড়িল—একদিন যেদিন নারী ছিলাম। ૨૨8