পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ এদিকে ওদিকে চাহিতে চাহিতে ঠিক জায়গাটাতেই চোখ পড়িয়া গেল। দিবাকর পাশের ঘরেই ছিল, উঠিয়া গিয়া তাহাকে কহিল, কই ঠাকুরপো, বিষের ছুরি কই ? সমালোচনা দেখালে, এবার আসল জিনিস বার করে । দিবাকর সলঙ্গ বিনয়ের সহিত কহিতে লাগিল, ও, সেই গল্পটা তা-ও-লে— কিছুই নয় বোঁদি—তাড়াতাড়ি লেখা— কিরণময়ী হাসিয়া বলিল, তা হোক, দাও, বলিয়া নিজেই খুজিয়া পাতিয়া ‘চঞ্জোদয়’ পত্রিকাখানি টানিয়া বাহিৰ্ব্ব করিয়া সেইখানেই সেটা খুলিয়া একটা চৌকির উপর বসিয়া পড়িল। সে নিঃশবে পড়িতে লাগিল, কিন্তু দিবাকর আশা ও আকাঙ্ক্ষার তীব্ৰ উত্তেজনা গোপন করিয়া মিছামিছি একখানা বইয়ের পাতা উন্টাইতে লাগিল । তাহার বিষের ছুরি গল্পের নায়িক অসামান্ত স্বন্দরী এবং ষোড়শী। ধনবান জমিদারকন্যা হইয়াও দৈবচক্রে এক দরিদ্র রূপবান যুবককে ভালবাসিয়া ফেলিয়াছেন। জমিদার ঘটনা অবগত হইয়া নায়ক বিজয়েন্দ্রকুমারকে দেশছাড়া করিয়াছে। কিন্তু নগেন্দ্ৰনন্দিনী কিছুই জানে ন!—বসন্ত-সন্ধ্যায় মালতীকুঞ্জে বসিয়া মাপন-মলে মালা গাখিতেছেন। ওদিকে রূপে মুগ্ধ পূর্ণচন্দ্র গাছের আড়ালে উকি-বু কি মারিতেছে, কিন্তু আকাশে উঠিতে সাহস করিতেছে না। প্রভাত কল্পনা করিয়া মধ্যে মধ্যে কোকিল কুহু কুহু করিয়া উঠিতেছে, উপরে লুব্ধ ভ্রমর গুন গুন করিয়া নিদ্ৰালসা মালতীর ঘুম ভাঙ্গাইতেছে। এমন সময় ধীরে ধীরে কে আসে ওই ? বিজয়েন্স না ? ই, সেই ত বটে। কিন্তু এ কি বেশ ? গেরুয়া বস্ত্র, কপালে বিভূতি, কণ্ঠে রুদ্ৰাক্ষ যে ! নগেন্দ্রনদিনীর হাত হইতে মালতীর মালা পড়িয়া গেল। বিজয়েন্দ্র নিকটে আসিয়৷ গদগদকৃষ্ঠে কহিল, বিদায় । চলিলাম ! নগেন্দ্রনদিনীর মস্তকে যেন সহসা বজ্রপাত হইল। বক্ষে লক্ষ লক্ষ বৃশ্চিক দংশন করিয়া উঠিল। মনে হইল, হৃৎপিও যেন শতধা বিদীর্ণ হইতেছে! তাহার চোখে চাদের আলো মলীবর্ণ হইয়া গেল, কর্ণবিবরে কুহুধনি পেচক-চীৎকারে পরিণত হইল। যুৱতী আর দাড়াইতে পারিল না—মূচ্ছিত হইয়া পড়িয়া গেল। এ পর্য্যস্ত পড়িয়া কিরণময়ী সহসা মুখ তুলিয়া কহিল, ছোটুঠাকুরপো নিশ্চয়ই কাউকে ভালবাস ? না ? দিবাকর আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, আমি ? ই গো তুমি ; নিশ্চয়ই তুমি লুকিয়ে কাউকে ভালবাস। এই আকস্মিক অপবাদের প্রবল লঙ্গায় দিবাকর হতবুদ্ধি হইয়া গেল। মুহূর্বকাল পরে কুষ্ঠিত ও ব্যস্ত হইয়া প্রতিবাদ করিয়া উঠিল, আমি ? ছিঃ-রাম বল—কখখন न'-किङ्ग्डं न' ३३०