বিদায়-আরতি
মাজা আলোয় সাজন সাজে, বিজন গেহে মুগ্ধ চোখে,—
বাজন বাজে বুকের তালে, আয়নাতে মুখ দেখ্ছে ও কে!
আতর-ভরা চাওনি দিয়ে আপনাকে ও বরণ করে,
চাঁপাই আলো সাত ঝরোকায় ঝাঁপায় রে ওর চরণ পরে।
আলোর আতর থিতিয়ে বুঝি এই অপরূপ রূপ পেয়েছে,
রূপের ধূপের সৌরভে আস্মান ছেয়েছে—প্রাণ ছেয়েছে,
আস্মানে আর পরাণে আজ সোনার পোড়েন্ সোনার টানা,
শুক্তি-ধবল মেঘের মেলায় হংস-মিথুন মিলায় ডানা।
কয়াধু
[দিতি ও কশ্যপের পুত্র অসুর সম্রাট্ হিরণ্য-কশিপুর পত্নী কয়াধু! ইনি জস্তাসুরের কন্যা ও মহিষাসুরের ভগিনী। ইহার চারি পুত্র—প্রহ্লাদ, সংহ্লাদ, হ্লাদ ও অনুহ্লাদ।]
কার তরে এই শয্যা দাসী, রচিস্ আনন্দে?
হাতীর দাঁতের পালঙ্কে মোর দে রে আগুন দে।
পুত্র যাহার বন্দীশালায় শিলায় শুয়ে, হায়,
ঘুম যাবে সে দুধের-ফেন ফুলের-বিছানায়?
কুমার যাহার উচিত কয়ে সয় অকথ্য ক্লেশ,
সে কি রাজার মন ভোলাতে পর্বে ফুলের বেশ?
দুলাল যাহার শিকল-বেড়ীর নিগ্রহে জর্জ্জর,
জন্তলিকা! রত্ন-মুকুট তার শিরে দুর্ভর।
পার্ব না আর করতে শিঙার রাখতে রাজার মন,
জঞ্জালে ডাল্ জঞ্জাল-জাল রাণীর আভরণ!