較 ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । ዓቖ দেশের মধ্যে বাণিজ্য-সম্বন্ধের সুবিধার জন্যই ঐরুপ প্রথা প্রবর্তিত হইয়াছিল । খৃষ্টীয় রয়োদশ শতাব্দীতে তাতার-বংশজ কুবলাই খ যখন চীনের সমাট পদে অধিষ্ঠিত, ভারতীয় বণিকগণ তখনও এইভাবে বাণিজ্য-সম্বন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিলেন। তৎকালে ভারতীয় চারি জন নৃপতির রাজ্য হইতে এবং ভারত-মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ হইতে বণিকগণ এইভাবে চীনদেশে বাণিজ্য-ব্যবসায় চালাইবার সুবিধা পাইয়াছিলেন। * লঙ্কাদ্বীপ চিরকালই ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া পরিচিত। লঙ্কাদ্বীপের বণিকগণও চীনদেশে এই প্রকার বাণিজ্যের সুবিধা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ফলতঃ, খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর প্রারস্তে হিন্দু-বণিকগণ যে প্রথার প্রবর্তনায় চীনদেশে বাণিজ্যের সুবিধা করিয়া লইয়াছিলেন, মোগল-সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার দিনেও সেই প্রথা প্রচলিত ছিল এবং আজিও রূপান্তরে সেই প্রথাই চলিয়৷ আসিতেছে । যে সকল অর্ণবপোতে বণিকগণ চীনদেশে গতিবিধি করিতেন, তাহার কোনও পোতের সন্মুখভাগ মকরাকৃতি, কোনও পোতের সম্মুখভাগ ময়ূরাকৃতি, কোনও পোতের সন্মুখভাগ অন্যান্য জীবজন্তুর প্রতিকৃতির অনুকরণে গঠিত হইত। এবহুপ্রকার
- প্রতিকৃতিযুক্ত পোতসমূহের বিষয় আলোচনা করিলে, তৎসমুদায় যে
- ভারতীয় শিল্পিগণের শিল্পচাতুৰ্য্যের পরিচয়, তাহাই বুঝা যায়। অধ্যাপক লাকুপেরি কিন্তু ঐ সকল পোত ফিনিসীয়গণের অনুকরণে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়। সিদ্ধান্ত করেন । বলা বাহুল্য, তাহার সে সিদ্ধান্ত-ভ্ৰান্ত সিদ্ধান্ত । কারণ, ভারতবর্ষই ঐ প্রকার পোতের উৎপত্তি-স্থান। কোন স্মরণাতীত কাল পূৰ্ব্ব হইতে ঐ প্রকার আকৃতিযুক্ত পোতের প্রচলন ভারতবর্ষে আছে, একটু অনুসন্ধান করিলেই তাহ প্রতীত হয়। অথচ, ঐ প্রকার আকৃতিযুক্ত পোতে অধ্যাপক প্রবর কি করিয়া ফিনিসীয়ার অনুসরণ উপলব্ধি করিলেন, বুঝিতে পারি না । একটা সাদ। কথায় এ তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। আমরা পূৰ্ব্বে প্রতিপন্ন করিয়াছি, ভারতবৰ্ষই ময়ূরের উৎপত্তি-স্থান ; ভারতবর্ষ হইতেই ময়ুর সলোমনের ও হীরামের রাজ্যে রপ্তানি হইয়াছিল। যে দেশ ময়ূরের উৎপত্তি-স্থান, যে দেশ সৰ্ব্বদা ময়ুর সম্মুখে দেখে, ময়ূরের প্রতিকৃতি অঙ্কন করা–খোদাই কর। সেই দেশেরই স্বাভাবিক কাৰ্য্য। অন্য দেশ তাহার অনুকরণ করিতে পারে । কিন্তু যাহ। তাহার নিজস্ব, তদ্বিষয়ে অন্তের অনুকরণের অনুকরণ করিতে তাহার কখনই প্রবৃত্তি হয় না । ভগীরথ কোন যুগে মৰ্ত্ত্যধামে গঙ্গা দেবীকে আনয়ন করেন, তাহার কাল-নির্ণয়ে কল্পনা পর্যুদস্ত হয় । গঙ্গ। মকরবাহনে আগমন করেন, ইহাই প্রসিদ্ধি । সেই মকরবাহন স্মৃতির অনুসরণে পুরোভাগে মকর-মুৰ্ত্তি-সমন্বিত পোত প্রস্তুত হওয়ার প্রথা প্রবর্তিত হয়। প্রাচীন ভারতের শিল্প-সম্পদের মধ্যে পূৰ্ব্বোক্তরূপ আকৃতিবিশিষ্ট পোতের নানা প্রতিকৃতি আছে। সাচীর স্তৃপ—প্রাচীন ভারতের স্থাপত্যের ও কারুকাৰ্য্যের গৌরব-স্মৃতি। সেই ভূপের পশ্চিম-তোড়ণ-দ্বারে একখানি অর্ণবপোতের প্রতিকৃতি খোদিত অাছে। সেই পোত—মকরাকৃতিবিশিষ্ট। পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণ নিৰ্দ্ধারণ করেন, খৃষ্টজন্মের তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে প্রস্তরোপরি ঐ পোতের প্রতিকৃতি
Vide sir Henry Yule's catway ана наway thither,