পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পাশ্চাত্যদেশে বড় দোষের নয় ; বরং বিদ্যার্থী যুবক ওবিষয়ে একান্ত বিরত থাকলে অনেক স্থলে তার মা-বাপ দোষাবহ বিবেচনা করে ; পাছে ছেলেটা ‘মেনিমুখো' হয় । পুরুষের একগুণ পাশ্চাত্যদেশে চাই—সাহস ; এদের “ভুার্চ ( virtue ) শব্দ আর আমাদের ‘বীরত্ব একই শব্দ। ঐ শব্দের ইতিহাসেই দেখ, এরা কাকে পুরুষের সততা বলে। মেয়ে মানষের পক্ষে সতীত্ব অত্যাবশ্বক বটে। এ সকল কথা বলবার উদ্দেশ্য এই যে, প্রত্যেক জাতির এক একটা নৈতিক জীবনোদ্দেশ্য আছে, সেইখানটা হতে সে জাতির রীতিনীতি বিচার করতে হবে । তাদের চোখে তাদের দেখতে হবে । আমাদের চোখে এদের দেখা, আর এদের চোখে আমাদের দেখা—এ দুই ভুল। - আমাদের উদ্দেশ্য এ বিষয়ে এদের ঠিক উণ্টো, আমাদের ব্রহ্মচারী (বিদ্যার্থী) শব্দ আর কামজয়িত্ব এক । বিদ্যার্থী আর কামজিৎ একই কথা । আমাদের উদ্দেশ্য—মোক্ষ । ব্রহ্মচর্য্য বিনা তা কেমনে হয়, বল ? এদের উদ্দেশ্য ভোগ, ব্রহ্মচর্যের আবশ্বক তত নাই ; তবে স্ত্রীলোকের সতীত্ব নাশ হলে ছেলে-পিলে জন্মায় না এবং সমগ্র জাতির ধ্বংস । brఫి