পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের ক্রমাভিব্যক্তি সৰ্ব্বনাশের মূল। মানুষ নিজ ভ্রাতাকে হীনাবস্থ করিয়া স্বয়ং কি কখন হীনভাবাপন্ন না হইয়া থাকিতে পারে ? জানিবেন, রাজাজী, আপনার পূর্বপুরুষগণের দ্বার আবিষ্কৃত সত্যসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য—এই ব্ৰহ্মাণ্ডের একত্ব। কোন ব্যক্তি কি আপনার কিছুমাত্র অনিষ্ট না করিয়া অপরের অনিষ্ট করিতে পারে ? এই ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণের অত্যাচারসমষ্টি চক্রবৃদ্ধির নিয়মে র্তাহাদের মস্তকে এই সহস্রবর্ষব্যাপী দাসত্ব ও অবনতি আনয়ন করিয়াছে—র্তাহারা অনিবাৰ্য্য কৰ্ম্মফলই ভোগ করিতেছেন । আপনাদেরই একজন পূর্বপুরুষ বলিয়া ছিলেন, ‘ইহৈব তৈর্জিত: সর্গে যেষাং সাম্যে স্থিতং মনঃ ' যাহাদের মন সাম্যভাবে অবস্থিত, তাহারা জীবদশাতেই সংসারজয় করিয়াছেন ? তাহাকে লোকে ভগবানের অবতার বলিয়া বিশ্বাস করিয়া থাকে, আমরা সকলেই ইহা বিশ্বাস করি। তবে কি তাহার এই বাক্য অর্থহীন প্রলাপমাত্র ? যদি না হয়, আর আমরা জানি তাহা নয়, তবে জন্ম, লিঙ্গ, এমন কি গুণ পৰ্যন্ত বিচার না করিয়া সমুদয় স্থষ্ট জগতের এই সম্পূর্ণ সাম্যের বিরুদ্ধে যে কোন চেষ্টা, তাহা ভয়ানক ভ্রমপূর্ণ আর যতদিন না কেহ এই সাম্যজ্ঞান লাভ করিতেছে, ততদিন সে কখনই মুক্ত হইতে পারে না । 4న