বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার চিন্তাও হয়তো তাদের মতো কখনো কখনো আকাশে সঞ্চরণ করে, কিন্তু সে যেন শরতের মেঘ, কখনো কখনো দিগন্তে করে আনাগোনা— নানা রঙ লাগে তাতে, সূর্য্যোদয় সূৰ্য্যাস্তকে সে অভিনন্দন করে নানা সমারোহে, কিন্তু চাতক যখন বলে জল দাও তখন সে লজ্জিত হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যায়। আমাকে আমার বিধাতা এই ফরমাসই করেচেন, র্তার বিশ্বোৎসবে শোভাযাত্রায় সাজসজ্জার কাজে লাগব, শানাই বাজাব, পতাকা দোলাব, কখনো কখনো জগঝম্পও হয়তো বাজাতে পারি, কিন্তু দীনদক্ষিণার ভার তার যে বিভাগে সেখানে আমার অনধিকার । আমার উজ্জল তকমা দেখে লোকে হঠাৎ অনেক আশা করে আসে তার পরে যখন ফিরে যায় তখন তারা ভাবে আমি কৃপণ, গাল পাড়তে থাকে। আমি কৃপণ বলে দিই নে তা নয় আমার হাতে তহবিল নেই বলে দেওয়া অসম্ভব । যারা দেয় তাদের চারদিকে দলবল থাকে, দলবলের অভাবে আমি সকল কাজে অকৃতার্থ। ডাকব তাদের কী দিয়ে, খোরাক দেব কোথা থেকে ? যে রঙে চোখ ভোলে তাতে তো পেট ভরে না । এই জন্যেই আমার দেশে আমি প্রায় একাই কাটিয়ে দিলুম জীবনের শেষ বেলা পৰ্য্যন্ত । আমার কাজ আমার হোলো বোঝা । তবু কৰ্ম্মণ্যেবাধিকারস্তে । একটা কথা বলি তোমার কাছে, সেটা আশ্চৰ্য্য ঠেকে। পাশ্চাত্য দেশে এমন কথা অনেকের কাছেই শুনেচি, অামার বাণীতে আমি কেবল যে তাদের খুসি করেছি তা নয়, তারা জীবনের অন্ন পেয়েছে তার থেকে, যাত্রাপথের পাথেয়রূপে তারা ) ఏ రి