পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না শেখে সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে চাই। আমাদের স্বদেশীয় প্রকৃতির বিরুদ্ধে চলিয়া আমরা কখনো সার্থকতা লাভ করিতে পারিব না। অামাদের দেশের যে বিশেষ মহত্ত্ব ছিল সেই মহত্ত্বের মধ্যে নিজের প্রকৃতিকে পূর্ণতা দান করিতে পারিলেই আমরা যথার্থভাবে বিশ্বজনীনতার মধ্যে উত্তীর্ণ হইতে পারিব— নিজেকে ধ্বংস করিয়া অন্যের সহিত মিলাইয়া দিয়া কিছুই হইতে পারিব না— অতএব, বরঞ্চ অতিরিক্ত মাত্রায় স্বদেশাচারের অনুগত হওয়া ভালে। তথাপি মুগ্ধভাবে বিদেশীর অনুকরণ করিয়া নিজেকে কৃতাৰ্থ মনে করা কিছু নহে । , ব্রহ্মচর্য্য-ব্রতে ছাত্রদিগকে কাঠিন্ত অভ্যাস করিতে হইবে । বিলাস ও ধনাভিমান পরিত্যাগ করিতে হইবে । ছাত্রদের মন হইতে ধনের গৌরব একেবারে বিলুপ্ত করিতে চাই। যেখানে তাহার কোন লক্ষণ দেখা যাইবে সেখানে তাহা একেবারে নষ্ট করা কৰ্ত্তব্য হইবে । আমার মনে হইয়াছে হেমেশ্রবাবুর পুত্র প্রেমানন্দের সৌধীন দ্রব্যের প্রতি কিঞ্চিৎ আসক্তি আছে— সেটা দমন করিতে হইবে । বেশভূষা সম্বন্ধে বিলাসিত পরিত্যাগ করিতে হইবে । কেহ দারিদ্র্যকে যেন লজ্জাজনক ঘৃণাজনক না মনে করে। অশনে বসনেও সৌধীনতা দূর করা চাই । দ্বিতীয়ত নিষ্ঠ৷ . উঠা বসা পড়া লেখা স্নান আহার ও সৰ্ব্বপ্রকার পরিচ্ছন্নতা ও শুচিতা সম্বন্ধে সমস্ত নিয়ম একান্ত দৃঢ়তার সহিত পালনীয়। ঘরে বাহিরে শয্যায় বসনে ও শরীরে কোনপ্রকার মলিনতা প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। যেখানে কোন ছাত্রের কাপড় কম আছে সেখানে সে যেন কাপড় কাচা }ot