পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS br' পত্রধারা 8어 শরীর অলস, মনট মন্থর। শক্তির গোধূলি। কেদারায় বসে আছি তো বসেই আছি, একটুখানি উঠে টেবিলে বসে সামান্য কিছু একটা কাজ করব তাও কেবলি পিছিয়ে যাচ্ছে । রাত হয়ে যায়, বিছানায় শুতে যাব, তাতে গড়িমসি, সকাল হোলো রোদ উঠেছে, বিছানা ছেড়ে উঠব সেও তথৈবচ | কোনো বিশেষ অসুখ আছে তাও নয়, জীবনের স্রোতটা থমথমে । বাইরের দিকে চেয়ে আছি তো চেয়েই আছি, ঠিক যেন ঐ রোদ-পোহানো জাম গাছটার মতো। দুপুর বেলাকার আলোটা আমার মনের উপর ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানকার দিগন্তে সুদূর নীলাভ রেখা, আর সেখানকার ঝোপের মধ্যে কোথায় একটা ঘুঘু ডাকছে, প্রহর যাচ্ছে চলে। ঐ শূন্ত মাঠের পর দিয়ে থেকে থেকে একটা ছিন্ন মেঘ যেমন তার ছায়া বুলিয়ে চলেছে, তেমনি কোন একটা দিশাহারা উড়ে বিষাদের ছায়া মনের উপর দিয়ে চলে যায়—মেঘেরই মতো খাপছাড়া—বাস্তব কিছুর সঙ্গেই জড়িত নয় । , এই পর্যন্ত কাল লিখেছি এমন সময় ডাক পড়ল। মেয়ের ঋতুরঙ্গ অভিনয় করবে আজ সন্ধ্যেবেলায়। তাদের অভ্যাস করাতে হবে । ওরা অঙ্গভঙ্গিমার লতানে রেখা দিয়ে গানের সুরের উপর নকশা কাটতে থাকে। মনে মনে ভাবি এর অর্থট