এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
“তিনি স্নানের ঘরে গেছেন। বলে গেছেন, এ ঘরে কেউ আসে তাঁর ইচ্ছে নয়।”
“আপনি?”
“আমি ছাড়া।”
বটু খুব স্পষ্ট একটা ঠোটবাঁকা হাসি হাসলে। বললে, “আমরা চিরকাল রইলুম ব্যাকরণের সাধারণ নিয়মে আর আপনি দুদিন এসেই উঠে পড়েছেন, আর্ষপ্রয়োগে। এক্সেপশন্ পিছল পথের আশ্রয়, বেশিকাল সয় না বলে রেখে দিলুম।” বলে তর তর করে নেমে চলে গেল।
ছোটো একটা করাত হাতে দোলাতে দোলাতে অখিল এসে বললে, “চিঠি।” ওর অসমাপ্ত সৃষ্টিকাজের মাঝখানে থেকে উঠে এসেছে।
“তোমার দিদিমণির?”
“না আপনার। আপনারই হাতে দিতে বললে।”
“কে।”
“চিনিনে।” বলেই চিঠিখানা দিয়ে চলে গেল। চিঠির কাগজের লাল রং দেখেই অতীন বুঝলে, এটা ডেন্জর সিগ্ন্যাল। গোপন ভাষায় লেখা চিঠি পড়ে দেখলে—“এলার বাড়িতে আর নয়, তাক্ব কিছু না জানিয়ে এই মুহূর্তে চলে এসো।”
৭৮