পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8vუ চিঠিপত্র তোর বৌঠানকে এখন আর নিজের হাতে কাজ করতে হয় না। চাদ বলে একজন পাঞ্জাবী ছাত্র আমাদের রেধে দেয়, বঙ্কিম বাসন মাজ এবং ঘর বাটের কাজে নিযুক্ত বোমা কেবল বিছানা করেন । আর সোমেন্দ্র আহার করে থাকে। এখানে ঘরকন্নার ব্যাপারটা তেমন অত্যন্ত গুরুতর কিছুই নয়— এখানে সমস্ত কাজই প্রায় কল টিপে চলে। বাজার করা টেলিফোনেই হয়ে যায়। দোকানদারেরাই সমস্ত জিনিষপত্র দরজায় পোছে দেয়— এ দেশী রান্নায় বাটনা বাট কোটন কোটার জুলুম অতি ঘৎসামান্য— তারপরে গ্যাসে ইলেকটি সিটিতে মিলে রাধাবাড় অতি অল্প সময়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। অতএব এখানকার ঘরকন্নার সিদ্য যে দেশে গিয়ে কাজে লাগবে এমন কথা মনে করিস নে । সেখানে তারার সেই বঁটি নিয়ে বসতে হবে— এবং মোচা ও পোড়ের মুণ্ডপাত করতে কুরুক্ষেত্র করতে হবে । এখানে পান সাজার বলাই একেবারেই নেই । দেশে তোদের সেই এক বিষম সাজ । আমি New Yorkএর একজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের চিকিৎসাধীনে আছি । কিছুদিন ঠিক ওষুধটা বের করতে অনেক হাওড়াতে হবে— এখনো সেই হাওড়ালার পালাই চলটে— আশ| করচি একটা কোনো ওষুধ খেটে যেতে পারবে । আমি এবারকার চিঠিতে খবর পেলুম যে আজ পর্য্যন্ত বোলপুরে আমার বইয়ের বাক্স যায়নি। এতে আমি যে কি পৰ্য্যন্ত বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি সে বলে উঠতে পারিনে। আমি