পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোমাকে বলিস তাদের উচিত গয়ন বিক্রি করেও এই সৎকাৰ্য্যটি করা । পশু দিন রথীকে লিখেছিলুম কোনো লোক দিয়ে ওখান থেকে পয়লা বৈশাখের জন্য ওখানকার তরমুজ খরমুজ ইত্যাদি পাঠাতে— অত্যন্ত সহজে ও সস্তায় কাজ সারবার এই অসামান্ত দৃষ্টান্তে এখানকার লোকের আমার বুদ্ধির প্রতি এমন একটু শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে যে তামি সস্কুচিত হয়ে পড়েছি । আমার এই অনুরোধটা রর্থী যদি কাজে পরিণত করে তাহলে এই ব্যাপারটা আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষত দেখতে পাচ্চি আমার জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে গোপনে ও প্রকাশ্বে একটা আলোচনা চলচে এই সময়ে যদি শিলাইদহ থেকে বোলপুরে তরমুজ ও ফুটি এসে পড়ে তাহলে সেই কাৰ্ত্তিটা হয়ত কারে অমর লেখনীর দ্বারা অবিনশ্বরভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যেতে পারে। অতএব তোর দাদাকে লিখিস খবরদার যেন তরমুজ ন পাঠায় । আমাদের বিদ্যালয়ের ছুটি আরম্ভ হবে ২৬শে বৈশাখে । তখন তোদের ওখানে বোধ হয় রীতিমত গরম পড়লে । বড়দাদী হেমলতা ও কমল পুরীতে যাচ্চেন। কিন্তু ছুটির সময় দিনুকে আমার কাছে না রাখলে নিশ্চিন্ত হতে পারব না। তাই, যদি আমি সে সময় শিলাইদহে যাই তাহলে দিলুকেও সেখালে আমার সঙ্গে নেব । সেখানে তাকে স্থান দেবার কি বিশেষ অসুবিধা হবে ? ইস্কুলের আর কোনো ছেলেকে আমি নিতে চাইনে ।