পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

טאצ' রবীন্দ্র-রচনাবলী তরুণ হৃদয় কেন আমন বিষাদময় ? কি দুখে উদাস হোয়ে করিছ ভ্ৰমণ ?” গভীর নিশ্বাস ফেলি গম্ভীরে কহিল কবি, “প্রাণের শূন্যতা কেন ঘুচিল না বালা ?” একে একে কত কথা কহিল বালিকা কাছে, যত কথা রুদ্ধ ছিল হৃদয়ে কবির— আগ্নেয় গিরির বুকে জলস্ত অগ্নির মত ষত কথা ছিল কবি কহিলা গম্ভীরে । “নদ নদী গিরি গুহ কত দেখিলাম, তবু প্রাণের শূন্ততা কেন ঘুচিল না দেবি ।” বালার কপোল বাহি নীরবে অশ্রুর বিন্দু স্বগের শিশির-সম পড়িল ঝরিয়া, সেই এক অশ্রুবিন্দু অমৃতধারার মত কবির হৃদয় গিয়া প্রবেশিল যেন ; দেখি সে করুণ বারি নিরশ্র কবির চোখে কত দিন পরে হোলো অশ্রীর উদয় । শ্রাস্ত হৃদয়ের তরে যে আশ্রয় খুজে খুজে পাগল ভ্ৰমিতেছিল হেথায় হোথায়— আজ যেন একটুকু আশ্রয় পাইল হৃদি, আজ যেন একটুকু জুড়ালে যন্ত্রণা । যে হৃদয় নিরাশায় মরুভূমি হোয়েছিল সেথা হোতে হোলো আজ আশ্র উৎসারিত । শ্রাস্ত সে কবির মাথা রাপিয়া কোলের পরে, সরলা মুছায়ে দিল অশ্রাবারিধারা । কবি সে ভাবিল মনে, তুমি কোথাকার দেবী কি অমৃত ঢালিলে গো প্রাণের ভিতর ! ললন তখন ধীরে চাহিয়া কবির মুখে কহিল মমতাময় করুণ কথায়,— “হোথায় বিজন বনে দেখেছ কুটার ওই, চল পান্থ ওইখানে যাই ছজনায় ।