আকাঙ্ক্ষা ভুলে হৃদয়কে স্তব্ধ ক’র্তে চাই—তা হ’লেই আমার সুরবাঁধা যন্ত্র ওস্তাদের হাতে বেজে উঠ্বে; আমাদের প্রার্থনা হ’চ্চে এই:—“তব অমল পরশ রস অন্তরে দাও।” তাঁর সেই স্পর্শের রসই হ’চ্চে আমাদের অন্তরের সঙ্গীত। তুমিও জানো, আমি সন্ধ্যাবেলায় প্রায়ই গান করি—
বীণা বাজাও হে, মম অন্তরে।
সজনে বিজনে, বন্ধু, সুখে দুঃখে বিপদে
আনন্দিত তান শুনাও হে, মম অন্তরে।
দুপুর বেলা খেতে গিয়ে দেখি, খাবার টেবিলে তোমার চিঠি আর সেই হিন্দী খবরের কাগজ র’য়েচে। তোমরা আলমোড়ায় যাচ্চো। ওখানে আমি অনেকদিন ছিলুম। তোমাদের ঠিকানা পেলে সেই ঠিকানায় লিখ্বো। আমি ভেবেছিলুম, তোমাদের স্কুলের ছুটির আগে তোমরা কোথাও যাবে না। কিন্তু দেখ্চি আমার ছেলেবেলাকার হাওয়া তোমাদের লেগেচে—তখন আমি কেবলি ইস্কুল পালিয়েচি। কিন্তু সাবধান আমার মতো মূর্খ হ’লে চ’ল্বে না—নাম্তা মনে থাকা চাই, আব সাইরীরিয়ার রাস্তা ভুল্লে কষ্ট পাবে।