গ্রন্থপরিচয়
হইয়াছে। ইতিপূর্বে রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রন্থের অন্তর্গত হয় নাই।
‘বিদ্যাসাগরস্মৃতি প্রবন্ধটি মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগরস্মৃতিমন্দির-প্রবেশউৎসবে রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক পঠিত হয় ১৩৪৬ সালের ৩০ অগ্রহায়ণ তারিখে। তদুপলক্ষে ইহা পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। ১৩৪৬ পৌষ সংখ্যা প্রবাসীতে ও অন্য কোনো কোনো সাময়িক পত্রেও পুনরমুদ্রিত হয়, এখন গ্রন্থভুক্ত হইল।
গ্রন্থসূচনায় যে কবিতাটি মুদ্রিত হইয়াছে তাহা উক্ত বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দিরের ভিত্তিস্থাপন উপলক্ষে রচিত ও প্রেরিত। উহা ১৩৪৫ কার্তিক সংখ্যা প্রবাসীতে ও অন্য কোনো কোনো সাময়িক পত্রে মুদ্রিত হয়, বর্তমানে গ্রন্থভুক্ত হইল। বিদ্যাসাগর-স্মৃতিমন্দিরের প্রবেশ-উৎসব উপলক্ষে যে কার্যসূচী-সংবলিত আমন্ত্রণপত্র প্রচারিত হয়, কবির হস্তলিপি তাহা হইতে গৃহীত।
১৩০৫ অগ্রহায়ণের ‘ভারতী’ (পৃ. ৭৪২-৪৩) হইতে এই গ্রন্থের দ্বিতীয় প্রবন্ধের বর্জিত সূচনাংশ এখানে সংকলনযোগ্য —
আশ্বিন-কাতিকের প্রদীপে শ্রীযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় 'পণ্ডিতবর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ -নামক যে প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছেন তাহা পাঠমাত্র করিয়া সংক্ষেপে বিদায় করিবার জিনিস নহে। এই প্রবন্ধে শাস্ত্রী মহাশয় যে সকল চিন্তা
১ বিদ্যাসাগরস্মৃতিমন্দির। প্রবেশ-উৎসব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাণী। মেদিনীপুর। ৩০ পৌষ [ অগ্রহায়ণ ], ১৩৪৬
৮৭